তারেক হাবিব, হবিগঞ্জ : শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ-দেউন্দি সড়কের ফরিদপুর এলাকার সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষিকা সুপ্তা রাণী দাশ (৩০) এর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। চালকের হাত থেকে নিজের সঙ্গম বাচাঁতেই চলন্ত নিএনজি গাড়ি থেকে লাফ দিয়ে মারা গেছেন বলে তিনি। এমনটাই অভিযোগ করেছেন নিহত স্কুল শিক্ষিকা সুপ্তা রাণী দাশের পরিবারের লোকজন। স্কুল ছুটির পর ধুলিয়াখাল এলাকার তার বাড়িতে ফেরার সময় স্থানীয় ফরিদপুর প্রাইমারী স্কুল এলাকায় তাকে একা পেয়ে চালক কৌশলে সিএনজিতে তুলে ভিন্ন পথে পালিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় দ্রুত গতিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় আত্মরক্ষা করতেই তিনি লাফ দিয়ে গুরুতর আহত হন। পরে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনার পর চালক দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেলেও পরে স্থানীয়রা তার পরিচয় সনান্ত করেছেন। 

নিহত স্কুল শিক্ষিকার চাচা জন্টু দাশ জানান, চুনারুঘাট উপজেলার বদরগাজী এলাকার আব্দুল মতিন (৩৫) নামে এক ড্রাইভার তাকে হবিগঞ্জ পৌছানোর কথা বলে গাড়িতে তুলেন। সঠিক রাস্তায় না গিয়ে ভিন্ন রাস্তায় দ্রুত গতিতে গেলে চালকের অসৎ উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে লাফ দেয় সুপ্তা। আজ শুক্রবার পর্যন্ত লাশের ময়নাতদন্ত শেষ হয়নি, লাশ সিলেট থেকে হবিগঞ্জ পৌছলে দাহ কাজ সম্পন্ন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে ওই শিক্ষিাকাকে একা পেয়ে অসৎ উদ্দেশ্যে ভিন্ন রাস্তায় যান। ইজ্জত বাচাতে তিনি সিএনজি থেকে লাফ দেন।

নিশাপট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জোৎন্সা আক্তার জানান, দূর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা তাকে দেখতে যাই। কিন্তু জ্ঞান না থাকায় দূর্ঘটনার প্রকৃত কারণ তার মূখ থেকে জানতে পাইনি।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি জানতে পারার পর শিক্ষা শাখাকে তদন্ত করে প্রতিবেদনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি নাজমুল হক জানান, ঘটনার খবর পেয়েছেন। তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনহত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(টিএইচ/এসপি/আগস্ট ১২, ২০২২)