নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় এক যুবককে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মতলব উত্তরের সাড়ে পাচানী গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে ইকবাল শামীমের সাথে একই গ্রামের আমিনুল ইসলামের মেয়ে সুলতানা আখির মধ্যে প্রেম ছিল।

২১ জুন ২০২২ ইং তারিখে শামীম ইকবাল তার বন্দু বড় হলদিয়া গ্রামের আমজাদ প্রধানের ছেলে পারভেজ ঢাকার বাসায় সুলতানা আখিকে নিয়ে বেড়াতে যায়।। পরেরদিন তারা চলে যায়।

পারভেজ পরে জানতে পাড়ে সুলতানা আখি কেরানীগঞ্জ থানায় ইকবাল শামীম ও পারভেজের নামে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী) ২০০৩ এর ১(৩) ধারায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।

এবিষয়ে মামলার আসামী পারভেজ প্রথান বলেন, আমি পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকি। বন্দু ইকবাল শামীম একটি মেয়েকে নিয়ে আমার বাসায় বেড়াতে আসে, পরদিন তারা চলে যায়। মেয়েটি তার স্ত্রী বলে পরিচয় করে দেয়।

পরে খবর নিয়ে জানতে পারলাম সুলতানা আখি প্রতারক, দেহ ব্যবসায়ী, ও অর্থ লোভী। কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুরে রাজবাড়ি, কুমিল্লা, ও ঢাকা জেলার কাফরুল এলার বিভিন্ন ছেলেদের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ঘটিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করে দর্শন মামলা দায়ের করেন। পরে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে রফাদফা করে।

গত ২ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং তারিখে মিরপুর থানাধীন দক্ষিণ মনিপুর এলাকার মৃত- আবুল কাশেম সরকারের ছেলে সাইফুল ইসলাম সরকার ওরফে শুভ (২৫) এর সাথেও প্রেমের অভিনয় করে দৈহিক সম্পর্ক ঘটান। পরে সুলতানা আখি কাফরুল থানার নারী ও শিশু নির্যাতন আইন ৯(১) ২০০০ (সংশোধনী) আইনে মামলা করেন। এসব কাজে সে বাবা মায়ের নাম পরিবর্তন করে প্রতারনা করেন। যা বিভিন্ন মামলার কাগজপত্রই প্রমান করে। এভাবে ছেলেদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্ধে রফাদফেয় মিমাংসা হন।

সুলতানা আখির এলাকায় ২/৩ টি বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু তার এ অপকর্মের কারনে সেই সংসার আর টিকেনি বলে জানান ভুক্তভোগী পারভেজ প্রধান। সে মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিকার চায় ও আদালতের মাধ্যমে সুবিচার চায় ভুক্তভোগী পরিবার।

(এস/এসপি/আগস্ট ১৫, ২০২২)