প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, নগরকান্দা : নগরকান্দা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বসছে মৃৎশিল্পের দেকান ব্যস্থ সময় পার করছে মা মনসা বিক্রয় সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ীরা। মেইন রাস্তার উপর দিয়েই পসরা সাজিয়ে বসেছেন যা ছিল চোখে পড়ার মতো, রাত পৌহালেই বুধবার শুরু হতে চলেছে মা মনসা পূজা।

আষাঢ় মাসের পূর্ণিমার পর যে পঞ্চমী তিথি (শ্রাবণ) তাকে নাগপঞ্চমী বলে। নাগপঞ্চমীতে উঠানে সিজগাছ স্থাপন করে মনসা পুজো করা হয়। ভাদ্রমাসের কৃষ্ণা পঞ্চমী পর্যন্ত পুজো করার বিধান আছে। বাংলাদেশ কোথাও কোথাও দেখা যায় এক সাপ্তাহ যাবত্‍ পুজো করা হয়। শুধুমাত্র শেষ দিনে পুরোহিত দ্বারা পুজো করা হয়।

মনসা কথার উৎপত্তি ‘মানস’ শব্দ থেকে ৷ অর্থাৎ তিনি মনের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ৷ আগামী কাল সেই মনসা দেবীর পুজো ৷ নাগকূলকে তুষ্ট রাখতেই প্রাচীনকালে মনসার পুজো করতেন গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষরা ৷

উল্লেখ্য, নাগকুল কশ্যপমুনির জাত যা সাধারণ সাপ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন ও বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন যেমন, অনন্ত, শেষনাগ, বাসুকি প্রভৃতি উদাহরণস্বরূপ বিষ্ণুর মস্তকের উপরে থাকেন শেষনাগ।

এ সময় দৈনিক বাংলা ৭১'র এক সাক্ষাৎকারে পুরাপাড়া বাজারের বিক্রেতা সুমন পাল (৪৮)জানান, গত বছর ছিল করোনা কালীন মহামারী সময়, চরম সংকট সময় কাটিয়েছি যা আপনাকে বলে বোঝাতে পারবো না, পূজার সময় যা বিক্রয় করি তা দিয়ে আমাদের সারা বছর চলতে হয়। আগের মতো নেই আর বেচা কেনা, মাটির ব্যবহার এখন আর তেমন বেশি কেউ করে না, সংকট পূর্ণ সময় কাটাচ্ছি আমরা, তবে গত বছরের তুলনায় এবার বেঁচা কেনা একটু ভালো।

(পিবি/এসপি/আগস্ট ১৬, ২০২২)