একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের ৩ নম্বর ইউপি সদস্য মো. নাসির উদ্দিন ওরফে গাজীর মেম্বারকে কুপিয়ে যখম করা হয়েছে।

সোমবার (১৫ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে উপজেলা মৌরাট ইউনিয়নের খান্দুয়া গ্রামের দড়িপাট্টা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পাংশা মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার এজাহারভূক্ত তিন আসামী হৃদয়(২১), মো. হাবিদুল ইসলাম(২০) ও নয়ন(১৯) কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ।

মো. নাসির উদ্দিন ওরফে গাজীর মেম্বার মৌরাট ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য এবং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। নাসির উদ্দিন খান্দুয়া গ্রামের মো. ছলিম মন্ডলের ছেলে। তিনি বর্তমানে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

আহত ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিন অভিযোগ জানান, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আনসার আলী মন্ডল তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। তিনি বিজয়ী হন। নির্বাচনে পরাজয় কেন্দ্র করে তাঁর উপর এ হামলা হয়েছে। পরাজয়ের পর থেকে আনসার তাঁর উপর হামলা করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছিল। সোমবার রাত ১০টার দিকে তিনি বাড়ির পাশে জহিরের দোকানে বসে গল্প করছিলেন। এসময় আনসার বাহিনীর সদস্যরা হামলা চালায়। এতে নেতৃত্ব দেয় আনসার আলীর ছেলে মো. উজ্জ্বল মন্ডল। হামলায় রিদয়, আলামিন, শরিফ, নয়ন, নান্নু, কামাল, ও হামিদুলসহ ১০-১২ জন অংশগ্রহণ করে। তাকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁর শোর-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। এসময় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে।

আনসার আলী মন্ডল বলেন, নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছি। তবে হামলার ঘটনা মিথ্যা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার কোনো বাহিনী নেই। সুতরাং বাহিনীর প্রধান হওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই। এছাড়া হামলার সময় আমি ঘটনাস্থলেও ছিলাম না।

পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক স্মৃতা ইয়াসমিন বলেন, রাত ১১টার দিকে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তাঁর মাথায় ধারালো অস্ত্রের একটি বড় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও তাকে মারধর করা হয়েছে।

পাংশা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) উত্তম কুমার ঘোষ বলেন, মঙ্গলবার সকালে আনসার আলী মন্ডলকে প্রধান আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এজাহারভূক্ত তিনজন আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের রাজবাড়ী আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।

(একে/এসপি/আগস্ট ১৬, ২০২২)