আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিতে চীনের সৈন্যরা চলতি মাসের শেষের দিকে রাশিয়া সফর করবেন। বেইজিংয়ের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

গত মাসে মস্কো ভোস্টক (পূর্ব) সামরিক মহড়ার ঘোষণা দেয়। সেসময় বলা হয় আগামী ৩০ আগস্ট থেকে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে সামরিক মহড়া। এতে কিছু বিদেশি সেনাও অংশ নেবেন বলে জানানো হয়। কিন্তু তারা কোন দেশের তা জানানো হয়নি।

বেইজিং ও মস্কোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক রয়েছে এবং চীন বলছে যে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ‘উচ্চ স্তরে’ নিয়ে যেতে চায়। যদিও মস্কো গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর পর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়ে এবং ব্যাপক নিন্দার সম্মুখীন হয় চীন।

এক বিবৃতিতে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক মহড়ায় অংশ নেওয়ার উদ্দেশ্য হলো অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর সেনাবাহিনীর সঙ্গে ব্যবহারিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা আরও গভীর করা। অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলোর মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতার স্তরকে উন্নত করা এবং বিভিন্ন নিরাপত্তা হুমকির জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আরও জোরদার করা।

এতে আরও বলা হয়েছে, মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ভারত, বেলারুশ, মঙ্গোলিয়া, তাজিকিস্তান এবং আরও অন্যান্য দেশ।

চীনের শি জিনপিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সময় দেশ দুটির মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরালো হয়েছে। যুদ্ধের কারণে যদিও পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার ফলে বেইজিও চাপের মুখে পড়ে। বলা চলে, ইউক্রেন আগ্রাসনের আগে ‘অসীম’ বন্ধুত্বের ঘোষণা দেয় চীন ও রাশিয়া।

তবে বেইজিং বলছে যে যৌথ মহড়ায় অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ‘বর্তমান আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত নয়’।

এক বছর আগে এই মাসে, উত্তর-মধ্য চীনে রাশিয়া ও চীনের এক হাজারের বেশি সেনা যৌথ মহড়ায় অংশ নেন। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু চীনের নিংজিয়ায় ওই মহড়ার প্রশংসা করেন এবং পরামর্শ দেন যে সেগুলো আরও উন্নত করা যেতে পারে।

তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

(ওএস/এএস/আগস্ট ১৮, ২০২২)