রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বাণিজ্যিকভাবে ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলা সদরের মাঝিয়াড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম।

দেশীয় ছাগলের পাশাপাশি ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের মাংসের যেমন চাহিদা রয়েছে, তেমনি দামও সন্তোষজনক হওয়ায় ছাগলের খামার গড়ে তিনি সফলতা পেয়েছেন।

এক সময় তিনি ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন, হঠাৎ একদিন কাজ শেষে বাড়ি ফেরার সময় কোন একটি বাড়ির ছাদের উপর ছাগলের খামার দেখতে পান, তখন তিনি সিন্ধান্ত নেন পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ বাদ দিয়ে নিজেয় ছাগলের খামার করবেন।

২০১৯ সালের ৮মার্চ এর পরে করোনা কালিন সময়ে মাত্র ১৯টি ছাগল পালন শুরু করেছিলেন পোশাক তৈরির কারখানায় কাজ ছেড়ে দেওয়া মফিজুল ইসলাম। কিন্তু প্রথম বার তার খামারের ২৮ টি বাচ্চা ছাগল মারা যায়। তবুও তিনি থেমে থাকেননি।

এখন তার খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ছাগলের সংখ্যা ৬০টি, যেখান থেকে তার বছরে আয় প্রায় তিন লক্ষ থেকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা। তার খামারে ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের পাশাপাশি দেশি ছাগলও রয়েছে। মফিজুলের সফলতা দেখে অনেকেই ছাগলের খামার করতে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিচ্ছেন।

সাতক্ষীরার তালা উপজেলা সদরের মাঝিয়াড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম নিজ বসতবাড়ির পাশেই গড়ে তুলেছেন ব্লাক বেঙ্গল ছাগলের খামার। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় আরও বড় পরিসরে খামার করতে চান তিনি।

মফিজুল ইসলাম জানান, ব্লাক বেঙ্গল ছাগল বছরে দুইবার বাচ্চা দেয়। প্রতিবার প্রজননে ২-৪ টা বাচ্চা হয়। রোগ-বালাইও কম হয়। বছরে একবার টিকা দিলেই আর কোনো ওষুধ লাগে না। একটি ছাগল প্রতিদিন ১৫-২০ টাকার খাদ্য খায়। ছাগলকে খাওয়ানো হয় গম, ভুট্টা, ছোলা বুটের গুড়ো, সয়াবিন ও ঘাস। তাই অল্প খরচে বেশি আয় করা সম্ভব।

তালা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাছুম বিল্লাহ জানান, দেশি ছাগলের পাশাপাশি আমরা ব্লাক বেঙ্গল ছাগল পালন করার জন্য উপজেলাতে ১০ প্রশিক্ষণ ও দুই জনকে টাকা দিয়েছি। উপজেলাতে মোট ১১৯টি ছোট বড় ছাগলের খামার রয়েছে। মোট ছাগল রয়েছে ৪৭৫৫১টি। আমরা নিয়মিত তাদের ওই ছাগলের খামার পরিদর্শনের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে দিচ্ছি।

(আরকে/এএস/আগস্ট ১৮, ২০২২)