রিপন মারমা, কাপ্তাই : রাঙামাটি কাপ্তাইয়ে ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সাড়ে ৯ টায় দিকে সকালে উপজেলার কাপ্তাই জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের উদ্যোগের কেপিএম হরিমন্দির হতে জন্মাষ্টমীর মহা শোভাযাত্রা বের হয়ে কাপ্তাই উপজেলা সদর পরিভ্রমণ করে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা শেষে সকাল সাড়ে ১১ টায় কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কাপ্তাই উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির সভাপতি সুর্বণ ভট্রাচার্য্য এর সভাপতিত্বে, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উৎপল কান্তি ভট্রাচার্য্য স্বাগত বক্তব্য মাধ্যমে,গণমাধ্যম কর্মী ঝুলন দত্তের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন , রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী।এইসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, কেপিএম হরিমন্দিরের সভাপতি কেপিএম লিমিটেড এর প্রধান প্রকৌশলী স্বপন কুমার সরকার, ১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন।

সেসময় বক্তারা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর আগে দ্বাপর যুগে ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরা নগরীতে অত্যাচারি রাজা কংসের কারাগারে বন্দি দেবকী ও বাসুদেবের বেদনাহত ক্রোড়ে জন্ম নিয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ।

অবতার হিসেবে তিনি প্রেম, সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ব্রত নিয়ে পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। ব্রতী হন অত্যাচারী ও দুর্জনের বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় ভালো মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। দুষ্টের দমন করতে একইভাবে যুগে যুগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পৃথিবীতে আসেন, সত্য ও সুন্দর ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন- এটাই সনাতন ধর্মালম্বীদের বিশ্বাস। তারা মনে করেন, জন্মাষ্টমী ব্রত (উপবাস) পালনে সমস্ত পাপমোচন ও পূণ্যলাভ হয়। যারা নিয়মিত এ ব্রত পালন করেন, তাদের সৌভাগ্য, আরোগ্য ও সন্তান লাভ হয়।

এছাড়া পরকালে স্বর্গপ্রাপ্তি নিশ্চিত হয়।এর আগে কেপিএম হরিমন্দির প্রাঙ্গণে পঞ্চপ্রদীপ জ্বালিয়ে জন্মাষ্টমীর শোভাযাত্রার শুভ উদ্বোধন করেন রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য অংসুইছাইন চৌধুরী।এদিকে চন্দ্রঘোনা মিশন এলাকা শ্রীশ্রী গৌর নিতাই নামহট্র প্রচার কেন্দ্রের আয়োজনে শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুক্রবার মহা শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। শোভাযাত্রাটি মিশন এলাকা হতে শুরু হয়ে চন্দ্রঘোনা দোভাষী বাজার এবং মিশন কুষ্ঠ হাসপাতাল গেইট প্রদক্ষিণ করে আবারও মিশন এলাকা শ্রীশ্রী নামহট্র প্রচার কেন্দ্রে এসে শেষ হয়।

সেসময় আরো উপষ্ঠিত ছিলেন, কাপ্তাই উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপক কুমার ভট্টাচায্য, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ ধর পিন্টু, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি প্রীতিষ চন্দ্র দে,অর্থ সম্পাদক উত্তম কুমার মল্লিক, মিশন এলাকা শ্রীশ্রী রাধাকৃষ্ণ মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুধীর ধর, নামহট্র সংঘের সাধারণ সম্পাদক পালক মাধব দাস, অর্থ সম্পাদক অমল হরি কৃপা দাস, অর্থ সম্পাদক শচীসুত দীনপাবন দাস, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পরমেশ ঋষিকেশ দাস, সদস্য রুপানুগ মাধব দাস, মথুরা জীবন মাধব দাস, শ্যাম সুন্দর ব্রজেশ্বর দাস, বাসুদেব ও জয় সহ নামহট্র সংঘের সদস্য ও সনাতন সম্প্রদায়ের ভক্তরা,সামাজিক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গনমাধ্যমকর্মী প্রমুখ।

(আরএম/এসপি/আগস্ট ১৯, ২০২২)