ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : যে রাজনৈতিক বার্তা দিয়ে ডাক ব্যবস্থার সূত্রপাত হয়, তা মূলত যোগাযোগ ব্যবস্থায় পাকিস্তানের মৃত্যুঘণ্টা চূড়ান্ত পরিণতি তৈরি করে। অর্থ্যাৎ, যে ডাক ব্যবস্থা রৌমারী ফিল্ড পোস্ট অফিস প্রধান সেনাপতি এমএজি ওসমানী উদ্বোধন করলেন তার মাধ্যমে সমগ্র বিশ্ব জানতে পারল পাকিস্তানের আভ্যন্তরীণ বিষয় নয় মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বতন্ত্র পরিকাঠামো সমৃদ্ধ একটি রাষ্ট্রের জন্মযন্ত্রনা। যা ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে।

যে রাজনৈতিক সরকার ১০ এপ্রিল ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে ৮, থিয়েটার রোড, কলকাতা- ৭০০০৭১ প্রতিষ্ঠিত হলো তারাই ডাক বিভাগ পরিচালনা করল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শারীরিক অনুপস্থিতিতে তাজউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে যে মুজিব নগর সরকার প্রতিষ্ঠিত হয় ডাক ব্যবস্থা সেখানে এক নতুন মাত্রা যোগ করে। যুদ্ধরত বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের চিঠি ভারত সরকারের ডাক বিভাগ অর্থ্যাৎ Indian Post- এর মাধ্যমে ডাক বিভাগের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হল।
মহান ভারতবর্ষের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বাংলাদেশের ডাক বিভাগের গোড়াপত্তন হল জিপিএ কলকাতায়। ৮, থিয়েটার রোড, কলকাতা-৭০০০৭১, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত হলো স্বাধীন বাংলাদেশের ডাক বিভাগের প্রথম মুখ্য অফিস।

ড. এস এম সারওয়ার মোর্শেদ রচিত 'মুক্তিযুদ্ধে ডাকবিভাগ' গ্রন্থে উঠে এসেছে ডাক বিভাগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের বৃত্তান্ত এবং মুক্তির সংগ্রামে এই বিভাগটির অনন্য ভূমিকার কথা।

বইটির লেখক নতুন প্রজন্মের একজন যুবক-গবেষক, সংস্কৃতিকর্মী। বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের প্রাক্তন শিক্ষা কর্মকর্তা এবং স্টামফোর্ড, সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির খন্ডকালীন প্রভাষক। ১৯৮৩ সালের ১ অক্টোবর নীলফামারী শহরের নীল প্রতিভা পাড়ায় তার জন্ম। মা সালেহা খাতুন পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শাজির উদ্দিন একাত্তরের মুজিব বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন।

(ওকে/এসপি/আগস্ট ২২, ২০২২)