মাজহারুল ইসলাম সৈকত


বাংলাদেশ বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি চিন্তা করতে গেলে গায়ে কাটা দিয়ে উঠে। কয়েকমাস আগেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বসন্তের সুবাতাস বইছিলো, এখন তা যেনো কালো আষাঢ়ে রূপ নিলো।

সমস্যার জর্জরিত দেশের অর্থনীতি সংকটে দেশের রিজার্ভ কমে ঠেকেছে তলানিতে, আমদানি ব্যয় মিটাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গত আগস্টেও যেখানে দেশের আমদানি ব্যয় মিটানোর সক্ষমতা ছিলো, সেখানে এই আগস্ট মাসে নাজেহাল অবস্থা। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাধারণত আমদানি নির্ভর অর্থনীতিতেই চলে, বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। আর এই আমদানি'ই কাল হয়ে দাড়িয়েছে দেশের অর্থনীতির জন্য।

২০২০-২১ অর্থবছরে বিভিন্ন দেশ থেকে ৬ হাজার ৬৮ কোটি ১০লাখ (৬০.৬৮ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০২১–২২ অর্থবছরে আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৭৮৭ কোটি(৮০.৭৮ বিলিয়ন)ডলার প্রায় অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে পণ্য আমদানিতে ব্যয় ৩৩ শতাংশ বা ২ হাজার ২৩২ কোটি ডলার বাড়তি ব্যয় হয়েছে। এর আগে কখনই এক অর্থবছরে এত বেশি অর্থের পণ্য আমদানি করেনি বাংলাদেশ। আমদানি ব্যয় বেশী হলে সমস্যা ছিলনা যদি রপ্তানি আয় বাড়ানো যেত, কিন্তু বাংলাদেশে আমদানি ব্যয়ের তুলনায় রপ্তানি আয় অনেক কম। ২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানি আয় ছিলো প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার(যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড সর্বোচ্চ)। রেকর্ড পরিমান রপ্তানি আয় করার পরেও আমদানি ব্যয় রেকর্ড হওয়ার কারনে বানিজ্য ঘাটতি ৩৩ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার।

এই বানিজ্য ঘাটতি মিটানোর একটি উপায় হতে পারতো প্রবাসীদের পাঠানো রিজার্ভ কিন্তু সেটাও আশানুরূপ হয়নি এই অর্থবছরে, এ যেন মরার উপর খরার ঘাঁ। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠান ২১দশমিক ০৩বিলিয়ন ডলার, যা তার আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ২৪ দশমিক ৭৭ বিলিয়ন ডলার, সে হিসেবে, বিদায়ী অর্থবছরে রেমিট্যান্স কমেছে ৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স আসার পরেও বৈদেশিক বিনিময়ে ঘাটতি থেকে যায় ১২ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার।অতিরিক্ত এই ঘাটতি মিটাতে চাপ বাড়ে রিজার্ভের উপর, রিজার্ভের উপর চাপ বাড়ায় অর্থনীতি এখন সংকটের মুখে। দেশের রিজার্ভ বর্তমানে ৪০বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গিয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে কোনোভাবে অর্থনীতিতে ভারসাম্য থাকলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরের শুরুতেই রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে টালমাটাল পরিস্থিতি হয়ে যায়। জ্বালানি তেলের মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে অসহনীয় হারে বাড়তে থাকে। প্রথমে সরকার ভর্তুকি দিয়ে দেশের বাজার স্থিতিশীল রাখলেও এক পর্যায়ে সরকারের লোকশান চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছে, যার কারনে বর্তমানে দেশের তেলের মূল্য বাড়ানো হয়েছে।এতেকরে দেশের বাজার হয়ে পরে অস্থিতিশীল। গাড়ি ভাড়াসহ ডিম থেকে শুরু করে দেশের সকল খাদ্যদ্রব্যের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থাকে। কিছু পণ্যের দাম বাড়ানো যৌক্তিক হলেও বেশীর ভাগ জিনিসপত্রের দাম অসাধুরা অজুহাত দেখিয়ে বাড়িয়ে নিয়েছে। আর এই মূল্যস্ফীতির কারনে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তদের জন্য পরিবার চালানো কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম এখন কিছুটা নিম্ন মুখী কিন্তু দেশের বাজারে এখনো দাম কমায়নি সরকার। আমার মনে হয় এইমুহুর্তে সাধারন মানুষের কথা চিন্তা করে লোকসান দিয়ে হলেও দাম কমানো উচিৎ, এতে দেশের মানুষের স্বস্তি ফিরবে।

দেশের জিনিসপত্রের দামের ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়া হলো মূল্যস্ফীতি/মুদ্রাস্ফীতি। খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১০-১১৫ টাকা। যা অর্থনীতির অন্যতম সমস্যার কারন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এই ব্যপারে দ্রুত হস্তক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে।

মানি লন্ডারিংয়ে বাংলাদেশের আরেকটি বড় সমস্যা দেশের কি পরিমান অর্থ দেশ থেকে পাচার হয়েছে তা এখন পর্যন্ত সরকারের কাছেও হিসাব নেই। সুইজ ব্যাংকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের হিসাব জানতে চাওয়া হলে সুইজারল্যান্ড সরকার মাত্র তথ্য দেয় ১ জনের অথচ তথ্য চাওয়া হয়েছে ৬০ জনের এমনটা জানিয়েছে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুধু সুইজারল্যান্ড নয় সারাবিশ্বে হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ কোটি ডলার পাচার হয়েছে বাংলাদেশ থেকে। যার মাশুল দিতে হচ্ছ সাধারন মানুষকে। মানি লন্ডারিংয়ের আইন রয়েছে কিন্তু গাফেলতি আর নজরদারির অভাবে প্রতি বছর দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি ডলার চলে যাচ্ছে অন্য দেশে যার কারনে দেশে সৃষ্টি হচ্ছে মুদ্রাস্ফীতি সহ নানান অর্থনৈতিক সংকট। এই সংকট মোকাবেলা সরকার বা কেন্দ্রিয় ব্যাংক অথবা কারো একার পক্ষে সম্ভব না। এর জন্য জনগন,সরকার উভয়কে এগিয়ে এসে সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে।

বর্তমান অর্থনীতি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক,সরকার ও জনগনের করনীয়ঃ ভোগ ব্যয় কমানো অর্থাৎ অপ্রয়োজনীয় যেকোনো ধরনের ব্যয় কমানো উচিৎ হোক সেটা সরকার বা জনগন উভয়েই। আমাদের উচিৎ রুচির পরিবর্তন করা যেখানে ৭০০ টাকায় শার্ট হলেই আপনার হয়ে যাবে, সেখানে আপনার দরকার নাই সেটা ৭০০০ টাকা দিয়ে কিনে ব্যবহার করা।এককথায় বিলাসবহুল পণ্য ব্যবহার কমিয়ে দিতে হবে। আমদানি নির্ভর দ্রব্য ব্যবহার এড়িয়ে চলা এই মুহুর্তে খুবই জরুরি। কারন আমদানি ব্যয় মিটাতে গিয়েই বর্তমানে রিজার্ভের উপর চাপ বেড়েছে। যেই বিদেশী পণ্য আপনার না হলেই চলে আপনি তা থেকে বিরত থাকতে চেষ্টা করুন। বাণিজ্য ঘাটতি পূরনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স সুতরাং আমাদের এই বাড়তি গ্যাপটা পূরণ করে আমাদের প্রবাসীদের রেমিট্যান্স। ২০২০-২১ অর্থ বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার কম রেমিট্যান্স এসেছে ২০২১-২২ অর্থবছরে। তবে স্বস্তির খবর হলো ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাসেই দেশে এসেছে ২বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স, যা বর্তমান অর্থনীতির ধাক্কা সামাল দিতে কাজে আসবে বলে মনে হয়। কিন্তু তার থেকেও বড় সমস্যা হচ্ছে বৈধ উপায়ে ২ বিলিয়ন ডলার এলেও অবৈধ পথে আরো কয়েকগুণ বেশী অর্থ দেশে এসেছে বলে আমার বিশ্বাস। আর এই অবৈধ পথে দেশে আসা অর্থ দেশের অর্থনীতিতে কোনো কাজে আসেনা অর্থাৎ GNP/জাতীয় আয়ে যোগ হচ্ছেনা।প্রশ্ন হচ্ছে কেন মানুষ বৈধ পথে না পাঠিয়ে সরকারের প্রনোদনা দেয়া সত্বেও অবৈধ পথে টাকা পাঠায়।

এর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারন- অবৈধ পথে টাকা পাঠানো তুলনা মূলক সহজ, প্রবাসীদের দেশে অর্থপাঠানোর লিমিট, অতিরিক্ত অর্থ পাঠাতে সেই দেশের ব্যাংকের কাছে কৈফিয়ত, রাজনৈতিক কারনে, মানু্ষের সচেতনতার অভাব, হুন্ডি ব্যাবসায়ীদের প্রসার, ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো বিরক্তি কর লাইনে দাঁড়ানো, কিন্তু হুন্ডি ওয়ালা সহজেই টাকা দিয়ে দেয়। মানুষ যদি জানত বৈধ উপায়ে টাকা পাঠালে দেশের জন্য তা কতটা মঙ্গলজনক তারা অবশ্যই বৈধ উপায়ে টাকা পাঠাত।

এখন বৈধ উপায়ে টাকা পাঠানোর জন্য সরকার ও জনগণের করনীয় কী?- বৈধ উপায়ে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে সরকারের প্রনোদনা বাড়ানো।ই তিমধ্যে প্রণোদনা দেয়া হয়েছে কিন্তু তা বর্তমান পরিস্থিতিতে অপ্রতুল, যেহেতু সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা তাই প্রণোদনা আরো বাড়াতে হবে। হুন্ডি সহ অন্য অন্যান্য অবৈধ পথে টাকা পাঠানোর থেকে প্রবাসীদের মুখ ফেরানোর জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ। প্রবাসীদের পরিবারের প্রতি যেই টানের কারনে দেশে টাকা পাঠাচ্ছে একই সাথে দেশ প্রেমে উদ্ভুদ্ধ হয়ে বৈধ উপায়ে টাকা পাঠানো। প্রবাসীদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে মনোযোগ দেয়া। বৈধ উপায়ে টাকা পাঠানোর জন্যে সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা দেশে থাকা হুন্ডি ব্যবসায়ীদের কঠোর ভাবে দমন করা এবং দালালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া। প্রত্যেক দেশে প্রেরিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতরা বৈধ উপায়ে টাকা পাঠানোর বিষয়ে প্রবাসীদের উদ্ভুদ্ধ করা। প্রবাসী শ্রমিকদের টাকা পাঠানোর যেই লিমিট থাকে তা বাড়ানোর জন্য সরকারের উদ্যোগ(অবশ্য এই বিষয়ে ঐ দেশের সরকারের স্বদিচ্ছা থাকা লাগবে) প্রবাসীরা দেশে আসতে বিমানবন্দরে অবহেলার যেই অভিযোগ আছে সেগুলো ক্ষতিয়ে দেখে সমাধান করা। মোট কথা দেশের কথা চিন্তা করে প্রবাসীরা বৈধ উপায়ে টাকা পাঠাতে হবে। অন্যথায় তাদের প্রেরিত অর্থ দেশের অর্থনীতিতে কোনো কাজে আসবেনা। একই সাথে রাপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে এবং অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমানোর চেষ্টা করতে হবে(যা জনগণের সচেতনতার ছাড়া সম্ভব নয়)।

বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ উন্নয়ন প্রকল্প চলমান থাকবে এটাই স্বভাবিক। কিন্তু বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য সরকারের উচিত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গুলো ছাড়া বাকি কম গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রকল্প আপাতত কিছু সময়ের জন্য স্থগিত রাখা, যেহেতু উন্নয়ন প্রকল্পের বেশীর ভাগের কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এসব প্রকল্প অন্তত ৬/১০ মাস স্থগিত রাখা। এই মুহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বের সাথে দেখা উচিৎ কৃষিখাতকে। শিক্ষিত যুব সমাজকেই এগিয়ে আসতে হবে কৃষি কাজে। অনেক অনাবাদী জমি ও সম্পদ পড়ে আছে। জার্মানীর প্রত্যেকটা ফ্যামিলির একটা পারিবারিক খামার আছে। নিজের প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী উৎপাদন করলেও দেশের আমদানীর উপর চাপ কমবে। খাদ্য দ্রব্যের চাহিদা মিটাতে পারলেও অন্তত দুর্ভিক্ষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা থাকবেনা।

বাংলাদেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধিতে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত এখন গার্মেন্টস অর্থাৎ পোষাক খাত। গত অর্থবছরে মোট রপ্তানি আয় হয় প্রায় ৬০ বিলিয়ন ডলার, যার সিংহভাগ আসে পোষাক খাত থেকে। বাংলাদেশের মত শ্রমবহুলদেশে পোষাক খাত এই মুহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণ পোষাক খাতে কম বিনিয়োগ করে অধিক শ্রমকে কাজে লাগিয়ে অধিকপরিমান উৎপাদন করা সম্ভব যা ইউরোপের বাজারে রপ্তানি করে আয় বাড়ানোর সুযোগ ব্যাপক। এক্ষেত্রে সরকার এই খাতের জন্য প্রনোদনা আর ভর্তুকি বাড়ালে দিনশেষে লাভের অংকই বৃদ্ধিপাবে বলে আশা করা যায়। তবে পোষাক শ্রমিকদের নানা অভিযোগের কারনে বারবার ই প্রশ্নবৃদ্ধ হয় এই খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা। শ্রমিকদের অভিযোগ তারা তাদের ন্যায্য মূল্য পায়না, কর্মঘন্টার থেকেও অধিক কাজ করতে হয় অধিক কাজ করেও তাদের ন্যায্য মূল্য তারা পায়না, এসব অভিযোগসহ আরো নানান অভিযোগ। সরকারের উচিৎ এসব অভিযোগ ক্ষতিয়ে দেখে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অধিক উৎপাদন করে রপ্তানি বৃদ্ধিতে লক্ষ্য করা।

এত কিছুর পরেও আশার সঞ্চার হতে পারে মাথাপিছু আয় বাড়ায় বর্তমানে মাথাপিছু ৩০৮৯ ডলার। রপ্তানি আয় বাড়ানো আর আমদানি ব্যায় কমাতে পারলে দেশ খুব শিগ্রই এই অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে পারবে বলে মনে হয়। সর্বশেষ কথা হচ্ছে, আপনি বাঁচতে চাইলে আপনার দেশ বাঁচাতে হবে, আর দেশ বাঁচাতে হলে অর্থনীতি। অর্থনীতির সংকটে আপনি উপরের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে আপনার বিবেক খাটিয়ে নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হোন তাহলেই হয়তো সচেতন হবে আপনার মতো হাজার হাজার মানুষ। আসুন আমাদের সকলের সচেতনতাই পারে সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে।

লেখক :শিক্ষার্থী, ফেনী সরকারি কলেজ, ফেনী।