রাজন্য রুহানি, জামালপুর : একদল শিক্ষার্থী নিয়ে আগ্রাসী ও ক্ষতিকর উদ্ভিদ পার্থেনিয়াম উৎপাটনে নেমেছেন প্রকৃতিপ্রেমী অধ্যাপক হাসমত আলী। যেখানেই এ উদ্ভিদ দেখছেন, তুলে ফেলছেন সঙ্গে সঙ্গেই। 

তাঁর মতে, পার্থেনিয়াম উদ্ভিদের ফুলের রেণু বাতাসের মাধ্যমে মানুষের সংস্পর্শে এলে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, জ্বর, এলার্জি,
চর্মরোগসহ নানা রোগ দেখা দিতে পারে। এটি খেলে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে গবাদিপশু। এমনকি মৃত্যুও হতে পারে!

ক্ষতিকর এ উদ্ভিদ ধ্বংসে তাই তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন ক্ষেতে খামারে, বনেবাদাড়ে, মাঠেঘাটে। যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই উৎপাটন করছেন ক্ষতিকর এ উদ্ভিদটি। সেই সঙ্গে তিনি মানুষজনের মধ্যে তৈরি করে চলেছেন সচেতনতা।

স্বেচ্ছাশ্রমে গড়ি দেশ, সুস্থ সুন্দর বাংলাদেশ’ স্লোগানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাঠে নেমেছেন ওই অধ্যাপক।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সকালে পার্থেনিয়াম উৎপাটনে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার আওনা ইউনিয়নের জগন্নাথগঞ্জ ঘাট এলাকায় চালিয়েছেন এক অভিযান। এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি সড়কের পাশে, ক্ষেতে ও মাঠে ছড়িয়ে থাকা পার্থেনিয়াম উৎপাটন করেন।

অধ্যাপক মো. হাসমত আলী সিরাজগঞ্জের মনসুর নগর কাজিপুরে অবস্থিত আলহাজ ফরহাদ আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগে কর্মরত। তিনি সরিষাবাড়ি উপজেলার জগন্নাথগঞ্জ ঘাটের দৌলতপুর গ্রামের মৃত আব্দুল্লাহর ছেলে।
অধ্যাপক জানান, পার্থেনিয়ামের আদি নিবাস উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও উত্তর পূর্ব মেক্সিকোতে। এটি একটি ক্ষতিকর আগ্রাসী উদ্ভিদ। এটি নরম কাণ্ডবিশিষ্ট গুল্মজাতীয় একটি আগাছা। ক্ষতিকর এ আগাছাটি দেখতে অনেকটা গাজর পাতার মতো। ফোটে ছোট ছোট ফুল। বীজ অতি ক্ষুদ্র ও হাল্কা। সহজেই বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে যায় এবং দ্রুত বংশবিস্তার করে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, এ উদ্ভিদ সমন্ধে সম্যক ধারণা আমাদের অনেকেরই নেই। সবারই তা জানা উচিৎ। সেই সঙ্গে এটি নির্মূলে সবার মধ্যে সচেতনতা দরকার। মানুষজনকে সচেতনতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে এ উদ্ভিদ নির্মূলে কাজ করছেন অধ্যাপক হাসমত আলী।

(আরআর/এসপি/আগস্ট ২৬, ২০২২)