কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : নরপিশাচ দুই শিক্ষকের অমানসিক শারিরিক নির্যাতনের ফলে এক মহিলা ৫ মাসের মৃত সন্তান প্রসব করেছে।

বুধবার রাতে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত সন্তান প্রসব করেন। হাসপাতালের বেডে এখনও মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন হতভাগা ওই মহিলা। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার রায়টা গ্রামে।
লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, ভেড়ামারার বাহাদুরপুর মফের আলী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রব ওরফে আদম এবং বাহাদুরপুর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম ঈদের আগের দিন রাতে পূর্ব শুত্রুতার জের ধরে রায়টা এলাকার লিয়াকত আলী ওরফে রতনের বাড়িতে হামলা চালায়।
এ সময় রতনকে না পেয়ে তার ৫ মাসের অন্তসত্বা স্ত্রী রওশান আরা খাতুনেরর উপর নির্যাতন চালায়। তারা ওই মহিলার পেটে লাথি দেওয়াসহ সারা শরীরে অসংখ্য জখম করে। পরে স্থানীয়রা ওই মহিলাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এরপর শুরু হয় প্রচুর রক্তক্ষরন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালেই তিনি ৫ মাসের মৃত সন্তান প্রসব করেন।

এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই মহিলার স্বামী লিয়াকত আলী রতন জানিয়েছেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুই শিক্ষক আব্দুর রব এবং জাহিদুল তার স্ত্রীর উপর নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের কারনে প্রচুর রক্তক্ষরন হয়। তাদের নির্যাতনে পেটের ভিতরই মারা যায় আমার ৫ মাসের সন্তান। এ বিষয়ে ওই দুই শিক্ষককে আসামী করে ভেড়ামারা থানায় মামলা হয়েছে।

(কেএইচ/জেএ/অক্টোবর ০৯, ২০১৪)