শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : বৃহস্পতিবার সকালে শাহজাদপুরের নরিনা ইউনিয়নে টেটিয়ারকান্দা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও মাদক দ্রব্য বিক্রিকে কেন্দ্র করে দু’দফা সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে।

আহতদের মধ্যে শুকুর (২৮), হবিবর (৪৫), কেরাম প্রাং (৫০), আলতাফ মেম্বর (৪৫), ভোলা (৫০) ও আকবরের অবস্থা গুরুতর। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শাহজাদপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, মাদক বিক্রি ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে টেটিয়ারকান্দা গ্রামে মতিন গ্রুপ ও বক্কার গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।

পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে একটি সালিশী বৈঠকের দিনধার্যকে কেন্দ্র করে মতিন ও বক্কারের লোকজন ফজরের নামাজ পড়েই বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের টেটিয়ারকান্দা মোড়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এসময় মহাসড়কের যান চলাচল প্রায় আধা ঘন্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হাই পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে মহাসড়ক থেকে হটিয়ে দেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় । সংঘর্ষ নিয়ে পুলিশের সাথে উভয় পক্ষ ঘটনাস্থলের পাশেই আলোচনা চলাকালিন সময় বক্কারের লোকজন মতিন গ্রুপের চার জনকে যুগ্নীদহ ব্রীজের কাছে সকাল ৮ টায় কাজে যাওয়ার পথে বেদম মারপিট করে।

এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে উভয় গ্রুপের লোকজন পুলিশের উপস্থিতিতে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষন ও লাঠি চার্জ করে।

এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে শাহজাদপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল হাই সাংবাদিকদের জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এদিকে টেটিয়ারকান্দা গ্রামের আবু বক্কার অভিযোগ করেন আব্দুল মতিন নিজেই এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে ও থানা পুলিশের সহযোগীতায় দীর্ঘদিন ধরে যৌন উত্তেজক ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক দ্রব্য বিক্রি করে এলাকার যুব সমাজকে ধংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এর প্রতিবাদ করায় মতিনের লোকজন নিড়িহ গ্রামের লোকজনের উপর বৃহস্পতিবার এ হামলা চালায়। এদিকে আব্দুল মতিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, মাদক বিক্রির কথা বলে বক্কারের লোকজন এলাকায় তার ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।

তিনি আরো জানান, বক্কার ও তার লোকজন একটি বিরোধপূর্ণ জমির সালিশী বৈঠকের দিন টাকা খেয়ে বারবার পিছানোর প্রতিবাদ করায় বক্কারের লোকজন তার লোকজনের উপর হামলা চালায়। উল্লেখ্য মতিন ও বক্কার দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের মাতব্বরের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এদিন বরকত ও আবু সামার জমির বিরোধ নিয়ে সালিশী বৈঠক বসার কথা ছিল।

(এআর/জেএ/অক্টোবর ০৯, ২০১৪)