নিউজ ডেস্ক : আমলকী টক জাতীয় ফল। কিন্তু আমলকী খেয়ে পানি খেলে মুখ মিষ্টি হয়ে যায়। এই ফলে প্রচুর ভিটামিন সি। মাত্র ১০০ গ্রাম আমলকীতে আছে ভিটামিন সি ৪৬৩ মিলিগ্রাম, শর্করা ১৬.২ গ্রাম, খনিজ পদার্থ ০.৭ গ্রাম, আঁশ ৩.৪ গ্রাম, খাদ্যশক্তি ৭০ কিলোক্যালরি, ক্যালসিয়াম ২২ মিলিগ্রাম, লৌহ ৩.১ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন ‘বি-১’-এ ০.০৩ মিলিগ্রাম ৷ আমলকী সম্পর্কে এ কথাগুলো বলেছেন এক পুষ্টিবিজ্ঞানী।

চুলের জন্য: চুলের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমলকী অদ্বিতীয়। আমলকী চুল পড়া রোধ করে, চুলের গোড়া শক্ত করে। চুলের সৌন্দর্যবর্ধনেও আমলকী অনন্য।

চোখের জন্য: দৃষ্টিশক্তির প্রখরতা বাড়াতে সক্ষম আমলকী। এ ছাড়া চোখের বিভিন্ন রোগসহ ছানি পড়তেও বাধা দেয়।

ক্যালসিয়াম শোষণ: হাড়, দাঁত, নখের জন্য ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। আমলকী এই ক্যালসিয়াম শরীরে শোষণ করার সক্ষমতা তৈরি করে।

ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য: আমলকীর উপাদানগুলো ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবেটিক রোগীর রক্তে চিনির পরিমাণ কমিয়ে সাম্য অবস্থা তৈরিতে পারদর্শী।

হজমের জন্য: আমলকীতে আঁশের পরিমাণ প্রচুর। তাই খাদ্য হজমে ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যর ভালো ওষুধ আমলকী।

হৃৎপিণ্ডের জন্য: হৃৎপিণ্ডের মাংসপেশিকে সবল করে, হৃদ্স্পন্দনের মাত্রা ঠিক রাখে আমলকী। এ ছাড়া রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল জমতেও বাধা দেয়।

প্রতিরোধ ব্যবস্থা: আমলকীতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে দেয়। যেকোনো ধরনের সংক্রমণ থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়।

ডায়রিয়াতে: ডায়রিয়া প্রতিরোধের উপাদান আছে আমলকীতে। যে ক্ষতিকারক উপাদান এবং টক্সিন ডায়রিয়ার জন্য দায়ী, সেগুলো শরীর থেকে বের করে দিয়ে শরীরকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তোলে আমলকী।

ক্ষুধা বর্ধক: খাওয়ার আগে খানিকটা আমলকী খেয়ে নিলে ক্ষুধা বাড়বে। যাঁরা সঠিক নিয়মে ওজন বাড়াতে চান, খাওয়ার আগে আমলকী খেয়ে নিন।

বয়সকে বাঁধতে: আমলকীতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে, যেটি ফ্রি রেডিকেল প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া ও কোষ ক্ষয়ের অন্যতম কারণ এই ফ্রি রেডিকেল। তাই বয়সকে ধরে রাখতে সাহায্য করে।

(ওএস/এটিআর/অক্টোবর ১০, ২০১৪)