শাহনাজ পারভীন, বকশীগঞ্জ : জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের পাহাড়ি এলাকায় ভারতীয় হাতির উপদ্রব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ।গত কয়েক দিন ধরে প্রায় ৬০/৭৫ টি  হাতির দল ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের সোমনাথ পাড়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ অভ‍্যন্তরে প্রবেশ করে।হাতির আতঙ্কে সোমনাথ পাড়া, টিলাপাড়া, সাতানিপাড়া,বালুরচর, গাড়োমারা, দিকলাকোনা, যদুরচর, যুরবিলা গ্রামের প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষের রাতে ঘুম নেই।

স্থানীয়রা জানান, গত সপ্তাহে সন্ধ‍্যায় ভারতীয় হাতির দল সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করে।প্রতি বছর হাতির দল সীমান্ত দিয়ে রাতে আধারে বাংলাদেশ প্রবেশ করলেও দিনের সূর্য আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ভারতে চলে যায়। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো এবার আর হাতির গুলো ভারতে ফেরত যাচ্ছে না।

দিনের বেলায় হাতির দলগুলো টিলাপাড়া, কলকলানি, সোমনাথপাড়ার, পাহাড়ে অবস্থান করছে। রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবারের সন্ধ‍ানে লোকালয়ে প্রবেশ ও জমির ধান খেয়ে ফেলছে।

রবিবার ১১ সেপ্টেম্বর সারারাত হাতির তান্ডবে সোমনাথ পাড়া ফারুকের লেবুর বাগানের সাথে ফারুকে জমিরসহ অনেকের প্রায় ১০ হেক্টর জমির রোপা আমন ধান নষ্ট করেছে। স্থানীয় বন বিভাগ হাতি তাড়াতে বাঁধা দিচ্ছে ।বন বিভাগের বাঁধার কারণে ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গত বছর হাতি তাড়ানোর জন‍্য বৈদ‍্যুতিক জেনারেটার, পটকা,আগুনের মশাল, ব‍্যবহার করে স্থানীয়রা হাতি তাড়াতো কিন্তু এবার সেগুলো ব‍্যবহার করতে দিচ্ছে না বন বিভাগ। এমনটি অভিযোগ করচ্ছে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে ডুমুরতলা বিট কর্মকর্তা আশাফুল আলম খান বলেন বৈদ‍্যুতিক ফাঁদ ব‍্যবহার করলে হাতি মারা যায়।সে কারেণে বৈদ‍্যুতিক জেনারেটার ব‍্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে আগুন বা শব্দ করে হাতি তাড়াতে কোনো বাঁধা নেই। ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান লাকপতি বলেন আমার ইউনিয়নে ৭থেকে ৮ টি গ্রামের মানুষের ঘরবাড়ি ও ফসলের ব‍্যাপক ক্ষতি হয়েছে ।

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তি রায় বলেন।যে এলাকায় হাতি অবস্থান করছেন।সে এলাকা থেকে মানুষকে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

(এসপি/এএস/সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২২)