মাসুম শাহরিয়ার, ইবি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) তে  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও লালন শাহ হলের দক্ষিণ ব্লগের পাশে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগ উঠেছে।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে দুইটি হলের প্রাচীর ঘেঁষে থেমে থেমে অন্তত ৬ টি বিষ্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এতে করে ক্যাম্পাসের হল গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। শব্দগুলোকে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ বলে দাবি করে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

জানা যায় যে, ককটেল বিস্ফোরণের পর আতঙ্কিত হয়ে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি, রড, স্ট্যাম্প ও হকস্টিক নিয়ে হলের অভ্যন্তর ও বাইরে টহল দিতে থাকেন। পরে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় সবাইকে নিজ নিজ হলে ফিরে যেতে বলেন। তখন সবাই হলের কক্ষে ফিরে যান। তবে ঘটনার সময় মোবাইল ফোনের কল দিয়েও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যদের না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শাখা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

পরবর্তী তে বুধবার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সালামসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যারা।

উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার (১২ আগষ্ট) বেলা ১১ টা ৪৫ মিনিটের দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত,সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ শেখ,বিপুল হোসেন খান, অনিক হাসান, ফজলে রাব্বি সহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এই বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কে অস্থিতিশীল করতে স্বাধীনতাবিরোধী যে সকল পরাশক্তি বোমাবাজি করছে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষা, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও যৌক্তিক দাবী আদায়ে সবসময় শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল থাকবে। যারা ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে চাই তাদের কে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে কঠোর ভাবে প্রতিহত করা হবে।

এই বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী যে সকল পরাশক্তি যাদের শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পরিবেশ তৈরী করা নিয়ে কাজ করার চিন্তা নেই, ভাবনা নেই তারাই রাতের আধারে ইবি শাখা ছাত্রলীগ পড়ালেখার যে সুন্দর পরিবেশ তৈরী করেছে তা নষ্ট করার জন্য ও শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত করার জন্য এই ঘটনা ঘটিয়েছে। দুইটি হল কে লক্ষ্য করে যে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে তারই প্রতিবাদে আজ এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ শরীরের শেষ ঘাম দিয়ে হলেও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ঠিক রাখতে কাজ করবে।

(এমএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২)