রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরের মেলান্দহে দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক শাহিন বাঘার বিরুদ্ধে এক মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও স্যানিটারি পণ্য লুটের অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় জামালপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এ অভিযোগ করেন ওই মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমের ছেলে আলমগীর হোসেন পলিন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি মেলান্দহ খানপাড়ায় জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে জমি কিনতে মঙ্গলবার দুপুরে মেলান্দহ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে জমি দলিল সম্পাদন করতে যাই। ওই সময়ে শাহজাদপুরের বাসিন্দা মৃত বাদশা বাঘার ছেলে শাহিন বাঘা ও আদিপৈত এলাকার মৃত নওশের আলীর ছেলে ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জমি রেজিস্ট্রি করতে দেবে না বলে হুমকি দেন। দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিকেল ৫ টার দিকে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তারা মেলান্দহ বাজারে আমার স্যানেটারি মালামালের দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর চালান।

হামলাকারীরা দোকানে থাকা ২০ লাখ টাকার মূল্যবান স্যানেটারি সামগ্রী লুটসহ নষ্ট করে অন্তত লক্ষাধিক টাকার মালামাল। হামলার খবর পেয়ে অন্যরা এগিয়ে এলে আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেন তারা। এ ঘটনায় রাতেই মেলান্দহ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। হুমকিদাতা ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও শাহিন বাঘা সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় আমিসহ পরিবারের লোকজন এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম জানান, বর্তমানে হামলাকারীদের ভয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে আমাদের পরো পরিবার। আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই ঘটনার যথাযথ শাস্তি কামনা করছি।

সংবাদ সম্মেলনে আলমগীর হোসেন পলিনের ভাই গিয়াস আহমেদ, চাচাতো ভাই সেলিম মিয়া, সুরুজ্জামান বেপারিসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন বাঘার সঙ্গে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি জানান, মেলান্দহে যুবলীগ কোথাও চাঁদাবাজি করেছে তার কোনো নজির নেই। আমি কোনো চাঁদা দাবি করিনি। উল্টো তারাই আমাকে মারধর করেছে। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ জানান, মঙ্গলবার দুপুরে শাহীন বাঘার ওপর হামলার খবর পেয়ে আমি সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে গিয়েছিলাম।পলিন ও তার লোকজন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন বাঘার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে শাহীন গুরুতর আহত হন। পরে হয়তো শাহীনের লোকজন অতি উৎসাহিত হয়ে দোকান ভাংচুর করে। আমার বিরুদ্ধে চাঁদার অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এ বিষয়ে ওসি দেলোয়ার হোসেন জানান, উভয় পক্ষ অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

(আরআর/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২)