নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের বড়াইগ্রাম ও বাগাতিপাড়ায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সময়েচিত হস্তক্ষেপে তিন স্কুল ছাত্রী বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে। এসময় বাগাতিপাড়া উপজেলায় দুই কনের বাবা ও বরের বাবাকে এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। শুক্রবার বাগাতিপাড়া উপজেলার  উত্তর ও দক্ষিন গাওপাড়া গ্রামে এবং বড়াইগ্রাম উপজেলার মেরিগাছা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তিনটি বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানাযায়,শুক্রবার বাগাতিপাড়া উপজেলার দক্ষিন গাওপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ১৬ বছ বয়সী মেয়ে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী সাথী খাতুনের সঙ্গে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার কালুহাটি গ্রামের সাদিম আলীর ছেলে বাশার আলীর বিয়ে ঠিক হয়। এখবর পেয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ব্রেনজন চাম্বু গং পুলিশসহ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। এসময় বর ও কনের পিতাকে বাল্য বিয়ে দেওয়ার জন্য ভৎসনা করে বিয়ে বন্ধ করেন। পরে উভয়কেই এক হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এদিকে একই সময়ে পার্শ্ববর্তী উত্তর গাওপাড়া গ্রামের আবু বক্কর তার ১৫ বছর বয়সী মেয়ে ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী বৃষ্টি খাতুনকে বিয়ে দেওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও সেখানে গিয়ে হাজির হন। ইউএনও’র আগমনের বিষয় টের পেয়ে বর পক্ষ আগেই সটকে পড়ে। পরে নাবালিকা মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে আবু বক্করকে এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বাগাতিপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) আবু মোতালেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

অপরদিকে একই দিনে বড়াইগ্রাম উপজেলার ভরতপুর গ্রামের মিন্টু মিয়ার ছেলে মাসুদ রানার (২২) সাথে মেরিগাছা গ্রামের জামালউদ্দিনের মেয়ে ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী তানিয়ার বিয়ের দিন ধার্য্য হয়। সন্ধ্যায় বরযাত্রীসহ বর বিয়ে বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহিদ নেওয়াজ বিয়ের বাড়িতে উপস্থিত হলে বরসহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়। এ সময় মেয়ের বাবা তার মেয়ের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে লিখিত মুচলেকা দেন এবং মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দিয়ে তাকে আবার স্কুলে পাঠাবেন বলে ওয়াদা করেন।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

(এমআর/এটিআর/অক্টোবর ১১, ২০১৪)