স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ, কেশবপুর : কেশবপুরে সঙ্গবদ্ধ কিশোর গ্যাং মাদকাসক্ত হয়ে পড়াতে এলাকায় ভীতির রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছে। উঠতি বয়সি এই কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা অধিকাংশ ১৬-২১ বছর বয়সি। বয়স ভেদে রয়েছে নেশার আসর জমানোর ভিন্ন ভিন্ন কৌশল, জায়গা। তারা অবাধে নেশার রাজ্যে বিচরণের জন্য যুক্ত হচ্ছে রাজনৈতিক বিভিন্ন গ্রুপে। খন্ড খন্ড চক্র আকারে পৌর শহর সহ বড় বড় বাজারে চলে তাদের দৈনন্দিন মহড়া। নেশার টাকার জোগান দিতে করে চাঁদাবাজি, জমি দখল সহ সাধারণ মানুষদের হেনস্তা। কিশোর গ্যাং এর কথিত ফাইলের ভয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রী অবাধে চলাচল করতে পারে না। দূর দূরত্ব থেকে প্রিয় মানুষদের সাথে দেখা করতে এসেও খোয়াতে হয় মোবাইল, ম্যানিব্যাগ। এতে করে প্রতিনিয়ত কেশবপুরের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে।

অবাধে নেশার রাজত্ব চালিয়ে যেতে বেঁছে নিচ্ছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্পট। উল্লেখ্য পৌর শহরের কবরস্থান রোড, গরুহাট, ভোগতির ময়না স্পট, হাসপাতালের পিছনে নির্জন এলাকায়, পৌর ভবনের পিছনে, মাছ বাজার এলাকার নদীর পাড়ে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই চক্রের সদস্যদের আনা গোনা থাকে। এই সব এলাকায় অনুসন্ধান করে অগণিত ফেনসিডিলের খালি বোতল, ডেনড্রাইড আঠার টিউব দেখা গেছে।

করোনা কাল থেকেই বেড়ে যায় মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাং এর সদস্য সংখ্যা। প্রতিনিয়ন নতুন নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে এই চক্রের সাথে। বিশেষ করে পড়াশুনা থেকে ঝড়ে পড়া, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়া, পারিপারির কলহের জের ধরে ক্রমাগত ভাবে বাড়ছে কিশোর গ্যাং। অন্য দিকে গ্রুপিং রাজনীতির ফায়দা হাসিল করতে কতিপয় নেতা এদের নিয়ে গড়ে তুলেছে অন্য এক জগৎ। যেখানে এরা ক্ষমতার নেশায় মরিয়া হয়ে থাকে। জানা গেছে বিভিন্ন প্রোগ্রামের নামে কিশোর গ্যাং নেতাদের পকেট কেটে নেশার টাকার জোগান মেটায়। বর্তমানে ভয়াবহ এই পরিস্থিতিতে উপজেলা শহরের মেস গুলোতেও পড়াশুনার জন্য ছেলে মেয়েকে রাখতে দ্বিধা দন্ধে ভুগছে অভিভাবকরা।

রাজনীতিক ভাবে মাঠ দখলে রাখতে হাতে গোনা ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতার ছত্রছায়ার বেড়ে উঠা এই কিশোর গ্যাং দমন করতে হিমশিম খাচ্ছে প্রসাশন। আগামি প্রজন্ম নিয়ে শংকিত কেশবপুরের সুশীল সমাজ। এই ধারা অব্যহত থাকলে সামনের দিন গুলোতে ঘরে ঘরে পাওয়া যাবে মাদকাসক্ত ব্যক্তি। যুব সমাজকে মাদক মুক্ত করে সুন্দর আগামি গড়তে এখুনি কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন বলে বিশিষ্ট জনেরা মনে করেন।

(এসএ/এসপি/সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২)