ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : জেলার সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ পৌরসভা ঝিনাইদহ সদর। গত ১১ সেপ্টেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী হিজলের কাছে হেরে যান। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীরদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। পরাজয়ের পরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা বির্তক ছড়িয়ে পড়েছে।

নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের কারণ হিসেবে জেলা নেতৃবৃন্দকে দায়ী করেছেন। অনেক নেতা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে লোক দেখানো কাজ করলেও গোপনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছে। এরমধ্যে জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছ থেকে আর্থিক লেনদনের মাধ্যমে তাকে পাশ করানোর সুযোগ করিয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে নেতাকর্মীদের অনেকে জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি করেছেন। কারণ আগামী সংসদ নির্বাচনে যদি এমন হয় তাহলে দলীয় সংসদকেও জেতানো দুঃসাধ্য হয়ে যাবে।

বর্তমানে জেলা পরিষদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে ৩ জন বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কনক কান্তি দাসের শেষ পর্যন্ত জেতা কঠিন হয়ে যেতে পারে।

শুধু জেলার রাজনীতিতে কোন্দল সীমাবন্ধ নয়। জেলা-উপজেলা,ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়েও ছড়িয়ে পড়েছে। সে কারণে ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রায় জায়গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পরাজয় ঘটেছে। যার ফলে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিতে পাচ্ছে না। এসব বিষয় নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।তারা অবিলম্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি জানান, বড় দলে কম বেশি কোন্দল থাকে। তবে সংসদ নির্বাচনের সময় আবার আমরা সবাই এক হয়ে যায়। বর্তমানে ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনসহ ইউনিয়ন নির্বাচনের পরাজয়ের কারণগুলো আমরা খুঁজছি এবং নিবিড়ভাবে পর্যাবেক্ষন করছি।

(একে/এসপি/সেপ্টেম্বর ২১, ২০২২)