দীপক চক্রবর্তী, মাগুরা : উন্মত্ত মধুমতির নদীর অব্যাহত ভাঙনে মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার ঝামা বাজার হুমকির সম্মুখিন রয়েছে। চলতি বছরের ভাদ্র-আশ্বিন মাসে বেড়েছে মধুমতি নদীর পানি। এ নদীর পানি বর্তমানে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে মহম্মদপুরের ঝামা বাজার সংলগ্ন বাড়ি-ঘর, দোকান, গোরস্থান, ছোট ছোট মাটির বসতবাড়ি বিলিন হয়েছে। 

সরজমিনে মহম্মদপুর উপজেলার ঝামা বাজার গিয়ে দেখা যায়,মধুমতি সংলগ্ন ঝামা বাজারটি রয়েছে হুমকির সম্মখিন । বাজার সংলগ্ন অনেক বাড়ি,দোকান,নদীগর্ভে বিলিন হওয়ার সম্মখিন। যথাযথ কতৃপক্ষ যদি এ সময়ে কোন পদক্ষেপ না নেয় তাহলে বাজারের অনেক দোকান নদীতে বিলিন হতে পারে বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

ঝামা বাজারের স্থানীয় বাসিন্দা ইসমাইল মোল্যা জানান,বর্তমানে মধুমতি নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে । ইতিমধ্যে আমাদের নদীতীরবতী অঞ্চলের বসত বাড়ি, দোকান, গোরস্থান নদীগর্ভে বিলিন হয়েছে। এখনি যদি কোন ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে বাজার হুমকির সম্মুখিন রয়েছে।

বাজারের ব্যবসায়ী লাবলু, শাহীন, মতিয়ারসহ আরো অনেকে জানান, এবার মধুমতি নদীর পানি তীব্রতা বেড়েছে। ইতি মধ্যে এ এলাকার স্থানীয় অনেক বসত বাড়ি নদীতে বিলিন হয়েছে। ২ বছরে আগে নদী সংলগ্ন বাজার এলাকায় ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেয়া হলেও বর্তমানে যথাযথ কতৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করাতে আমরা খুবই অসুবিধার মধ্যে রয়েছি। এখনি জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে ভাঙন রোধে বাজার সংলগ্ন রাস্তাটিতে বাধ দেওয়া প্রয়োজন। তারা আরো বলেন,কয়েক মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন নদী সংলগ্ন এলাকায় ঘুরে গিয়েছে কিন্তু কোন ব্যবস্থা এখনো নেওয়া হয়নি।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মান্নান মোল্যা জানান, মধুমতির নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভাঙন দেখা গিয়েছে। আমরা এলাকাবাসী এ বিষয়টি যথাযথ কতৃপক্ষের নিকট জানিয়েছি। ঝামা বাজার সংলগ্ন এলাকায় মধুমতি নদীতে একটি ফেরি চালু ঘোষণা এসেছে। এ বিষয়ে কিছুদিন আগে মাগুরা-২ আসনের সংসদ সদস্যসহ অনেকে এ এলাকা পরিদর্শন করেছে। আশা রাখছি তারা উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করবে। বর্তমানে এ বাজারে প্রায় ৩শ’ দোকান রয়েছে। তার মধ্যে নদী সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু দোকান। কিছু দোকান আবার পড়েছে ভাঙনের মুখে। আমরা সম্মিলিতভাবে ঝামা বাজার সমিতির পক্ষ থেকে যথাযথ কতৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেছি। আশা রাখছি খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ।

(ডিসি/এএস/সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২২)