ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ও কৈজুরী ইউনিয়নে পৃথক ঘটনায় দুইজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন দুবৃর্ত্তরা।

কোতয়ালী থানা পুলিশ জানায়, কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের হাট গোবিন্দপুর এলাকায় শনিবার গভীর রাতে নকুল কুমার বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তিকে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করে।

একই ঘটনায় গুরুতর জখম হয়েছেন নকুল বিশ্বাসের স্ত্রী রিক্তা রানী সরকার। তাকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, সম্পত্তি নিয়ে নকুল কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে একই গ্রামের নিরঞ্জন কুমার মিত্র, বিশ্ব কুমার মিত্রের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। গত কয়েক মাস আগে জমিসংক্রান্ত মামলায় আদালতের রায় পেয়ে নকুল কুমার বিশ্বাস কয়েকশ বিঘা জমির মালিকানা ফিরে পান।

শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাড়িতে ঢুকে নকুলের স্ত্রী রিক্তাকে দুবৃর্ত্তরা কুপিয়ে আহত করে। একই সময় দুবৃর্ত্তরা ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় নকুল কুমারকে কুপিয়ে আহত করে। পরে ঘরের ভেতর থেকে টেনে হেঁচড়ে বারান্দায় নিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়।

রিক্তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুবৃর্ত্তরা কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিবেশী নিরঞ্জন কুমার ও বিশ্ব কুমারসহ তার পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এদিকে, সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে শত্রুতার জের ধরে শনিবার রাত ১টার দিকে মালেক শেখ নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুবৃর্ত্তরা।

স্থানীয়রা জানান, মালেক শেখের সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে গত কয়েকদিন আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সে ঘটনার সূত্র ধরে মালেক শেখকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।

কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মোহসিনুল হক দুই জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, পৃথক দুটি হত্যার ঘটনায় ঘাতকদের আটকের চেষ্টা চলছে।

(ওএস/এইচআর/অক্টোবর ১২, ২০১৪)