স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদাবাজির একটি মামলার আসামি ইব্রাহীম খান ওরফে ভাগনে তুষার। এ মামলায় গত ১২ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি আদালতে ইব্রাহীম সেজে আত্মসমর্পণ করেন সাইফ ইসলাম নামের এক ব্যক্তি।

১৮ সেপ্টেম্বর ইব্রাহীমের জামিন হয়। যদিও কারাগারে ইব্রাহীমের পরিবর্তে বন্দী ছিলেন সাইফ। বিষয়টি ধরা পড়ে জামিন নেওয়ার সময়।

নিয়ম অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় কারাগারের (কেরানীগঞ্জ) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা আসামির জাতীয় পরিচয়পত্রে সংরক্ষিত আঙুলের ছাপের সঙ্গে ইব্রাহীম নামধারী ব্যক্তির আঙুলের ছাপ মেলাতে গিয়ে বুঝতে পারেন ছয়দিন কারাগারে থাকা ব্যক্তি আসল আসামি নন।

কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার (ভারপ্রাপ্ত) সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, জামিনের কাগজ পাওয়ার পর আমরা যখন বন্দীদের মুক্তি দিই, তখন বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নিই। কিন্তু এ বন্দীর (সাইফ) আঙুলের ছাপ না মেলায় আমরা খোঁজ-খবর নিতে শুরু করি।

অনুসন্ধানে জানতে পারি, টাকার বিনিময়ে কারাবাস করেছেন সাইফ। পরে আমরা বিষয়টি আদালতকে (ঢাকার বিশেষ জজ আদালত–৭) জানাই।

কারাগার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জালিয়াতির ঘটনাটি ১৯ সেপ্টেম্বর জানানো হলে আদালত ২০ সেপ্টেম্বর জামিন আদেশ বাতিল করেন।

এ সংক্রান্ত আদেশে আদালত বলেন, ইব্রাহীম খানের পরিবর্তে সাইফ ইসলামকে দাঁড় করিয়ে আদালতের সঙ্গে প্রতারণা করে জামিন নেওয়া হয়েছে। সাইফ প্রতারণা করায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে আদালতকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি)।

একই সঙ্গে আসামিপক্ষ থেকে জামিন আবেদন করা ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. আবদুল বাসেতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া মূল আসামি ইব্রাহীম খানের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২)