দীপক চন্দ্র পাল, ধামরাই : শরতের এই শিশির ঝড়া পূর্ণ লগ্নে আঁধার বিদীর্ণ করে সাড়া ভূবন আলোকিত করে ধ্বনিত হলো অর্মতের সুর। পত্রে পল্লবে, আকাশে, বাতাসে, ছড়িয়ে ভূবন মোহিনী মায়ের আগমনের সঞ্জবণী মন্ত্র। সকল অশুভ শক্তির বিনাশ ও শুভ শক্তির প্রতিষ্ঠা করতে তাঁর দশ প্রহর ধারন। মহাশক্তি মহামায়ার আরাধনায় উদ্ভাসিত হোক এ ভূনের সকল জীর্ণ, শীর্ণ মলিনতা, সবার জন্যে বয়ে আনুক পরম শান্তি। এবার মা দূর্গা দেবীর ধরাধামে গজে আগমন, দেবীর নৌকায় গমন করবেন।

আর এই বাসনা নিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান পূজা উৎসব সারা দেশের মত ঢাকার সন্নিকটে ধামরাইয়ে ব্যাপক আয়োজনে দুর্গা দেবীর বোধন ও অধিবাস পূজার মধ্য দিয়ে এবারের শারদীয়া দূর্গাপূজা উৎসব শুরু হয়েছে। আজ মহা সমপ্তমী। ঢাক-ঢোল-কাঁসর-ঘন্টার তালে তালে ও নারীদের উলুধ্বনিতে দেবী দুর্গার পূজার্চনা শুরু হয়েছে। উৎসব মুখরতায় সকল মন্দির প্রাঙ্গন। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে আরতি পূজা ও আরতি প্রতিযোগিতা উৎসব।

ঐতিহ্যবাহী রায় বাড়ি ও কায়েৎ পাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরেও ব্যাপক আয়োজন রয়েছে। আজ সপ্তমী পূজা, মন্দিরে,ম ন্দিরে চলছে পূজার উৎসব আমেজ। শ্রীশ্রী দূর্গাদেবীর নব পত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপন সপ্তম্যাদী কল্পারম্ভ ও বিহীত পূজা শেষে ভক্তবৃন্দের মাঝে প্রসাদ বিতরন করা হয় মন্দিরে মন্দিরে। আগামী সোমবার এই শারদীয় উৎসবের প্রধান আয়োজন মহা অষ্টমী পৃজা।

পূূজারীরা উৎসব মূখরতায় মেতে উঠেছে। নতুন নতুন বস্ত্র পরিধান করে মহিলাদের পূজার ডালা সাজিয়ে মায়ের পূজার্চনায় ব্রতী হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের সকল নারী পূরুষ. শিশু-কিশোররা উৎসব উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে। পূজায় ধামরাইয়ের প্রতিটি মন্দিরেই চমৎকার করে গেট ও আলোক ও সাজ-সজ্জা করা হয়েছে। সাজানো হয়েছে তোরণ। পৌর এলাকায় ৪১ টি দূর্গা মন্দিরে ধামরাইয়ের মেয়র গোলাম কবীর মোল্লা ৫ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছেন।

ধামরাই থানার ওসি মোঃ আতিকুর রহমান বলেছেন, পূজায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবসস্থা গ্রহন করা হয়েছে। পুলিমের পাশপাশি আনসার বিভিন্ন সংস্থার সদস্য ও র‌্যাব ফোর্স কড়া নজরদারীতে রয়েছে বলেন। মন্ডপে মন্ডপে সিসি ক্যামেরার উদ্বোধন করা হয়েছে। তিনি নিজে সার্বক্ষনিক নজরদারী করছেন বলে জানান।

ধামরাইয়ের আমতা জহন্নাথ মন্দিরে দেবীর দূর্গার ন্ব রুপে নয়টি প্রতিমা স্থাপন করে করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দূর্গা পুজা।

এ মন্দিরে পুজারী মায়া রানী বণিক (৮৫) জানান, বিশেষ আয়োজনে এ পুজা অনুষ্ঠিত হওয়ায় ভক্ত নর নারীদের উপস্থিতি বেশী। দেবী দূর্গা যখন অশুর বধে হিম শিম হয়ে পড়ে তখন মা তার নব রূপ ধারন করে অশুুরকে বধ করেন। সেই রুপ ও ধারনায় এই জগন্নাথ মন্দিরে নব দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলেন।

পুজারী ডাঃ অজিত বসাক বলেন, করোনার কারণে বিগত ৩ বছর,আনন্দ উৎনব মুখরতা ছিল না। এবার দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো ও করোনার প্রভাব ম্লান হয়েছে ,এবার আমরা মহাধূমধামে দূর্গা পুজা উৎসব পালন করছি বলেন।

ধামরাই উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পুজারী নন্দ গোপাল সেন বলেন আজ মহা সপ্তমী পূজা। বোধন ও পঞ্চমী মহা ষষ্টি পুজার মধ্য দিয়ে শুরু হেেয়ছে হিন্দু সম্প্রদায়েরর অন্যতম প্রধান ধর্মীয় শারদীয়া উৎসব। ধর্মীয় রীতি মতে এবার “দেবীর গজে আগমন ও দেবীর নৌকায় গমন” হবে। এবার ধামরাইয়ে ২০৩টি দুর্গা মন্দিরে শারদীয়া উৎসবে আয়োজন হয়েছে ।

প্রশাসন থেকে থেকে সার্বিক আইন-শৃংখলা পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পুজারী নের্তৃবৃন্দদের সাথে পুলিশ প্রশাসনের উধ্বতন কর্মর্তার মতবিনিময় করেছেন। ধামরাইয়ের আইন শৃংখলা পরিবেশ ভালো বলেন।

ধামরাইয়ের মন্দিরে মন্দিরে মহা সপ্তমীর উৎসব পরিবেশ বিরাজ করছে। এবার ঢাকার সন্নিকটে ধামরাইয়ে ২০৩ মন্দিরে জন্য সরকারী ৫০০ কেচি করে চাল বরাদ্দ উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী দপ্তর থেকে বিলি করেছে ডিউ লেটারের মাধ্যমে। শান্তি পুর্ন ভাবে এই ডিউ লেটার ধারক পেযেছে প্রতি মন্দিরে ১৬ হাজার টাকা করে।

(ডিসিপি/এসপি/অক্টোবর ০২, ২০২২)