অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : বয়স ৫০ বছর । তবে বয়সে জ্যেষ্ঠ হলেও কর্মে তরুণ। কখনো মোটরসাইকেল, কখনো বাস, আবার কখনো ভ্যানে চড়ে বা পায়ে হেটে সংবাদের পিছনে দৌড়ান। দিন বা রাত যেখানে খবর সেখানেই ছুটে যান। তিনি ঝিনাইদহের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আসিফ কাজল। এই বয়সেও তরুণদের সাথে সাংবাদিকতায় প্রতিযোগীতা করে চলেছেন। ৩০ বছর সাংবাদিকতার বয়সে অসংখ্য পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে কাজ করেছেন। 

১৯৯৩ সালে স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক ঝিনাইদহ এর মাধ্যমে সাংবাদিকতার হাতেখড়ি শুরু তার। এরপর কাজ করেছেন দৈনিক দিনকাল,নিউজ মিডিয়া সিণ্ডিকেট,বাংলাদেশ টেলিভিশন, যায়যায়দিন ও বাংলানিউজ২৪ এর ঝিনাইদহ প্রতিনিধি হিসেবে। বর্তমানে দক্ষিণ-পচ্শিমাঞ্চলের জনপ্রিয় দৈনিক নবচিত্র'র বার্তা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।

শুধু সংবাদ লেখা নয়, ভিডিও ফুটেজ,ভিডিও এডিটিং ও ফটো এডিটিং এর কাজেও তিনি অত্যন্ত পারদর্শী। তরুণ সংবাদকর্মীদের অনুপ্রেরনার নাম আসিফ কাজল। সাংবাদিকতার এই দীর্ঘ সময়ে বিটিভি,যায়যায়দিন ও লোকসমাজ পত্রিকায় অসংখ্য চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন করেছেন যা দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ৯০’র দশকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তৎপর চরমপন্থি সংগঠনগুলোর উপরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রতিবেদন করেছেন। ঝিনাইদহের চাঞ্চল্যকর নানা খবর দৈনিক নবচিত্র ছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন পত্রিকায় এখনো ছাপা হয়।

সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য স্থানীয়ভাবে ও জাতীয় পর্যায়ে নানাভাবে সম্মানিত হয়েছেন। বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কতৃক দুইবার দেশসেরা সাংবাদিকের সম্মাননা পেয়েছেন তিনি।

দীর্ঘ ৩০ বছরের সাংবাদিকতা প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আসিফ কাজল বলেন, সাংবাদিকতা অনেক কঠিন বিষয়। এই পেশায় টিকে থাকতে হলে সাংবাদিকতাকে নেশা হিসেবে নিতে হবে। নানা চরাই-উৎরাই পেরিয়েই এই পেশায় টিকে থাকা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকতার শুরু থেকেই অসহায়, দুস্থ্য, নিপীড়িত মানুষের কথা তুলে ধরেছি নানাভাবে। যেখানেই অনিয়ম-দুর্নীতি, দুর্যোগ-দুর্ভোগ সেখানকার কথা তুলে এনেছি গণমাধ্যমে। তারই স্বীকৃতিস্বরুপ বিভিন্ন সংগঠন আমাকে নানাভাবে সম্মানিত করেছে।যতদিন বেঁচে আছি গণমাধ্যমে নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষের কথাই তুলে ধরবো।

সাংবাদিক আসিফ কাজল ঝিনাইদহের সদর উপজেলার বংকিরা গ্রামের সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন।

(একে/এসপি/অক্টোবর ০২, ২০২২)