স্টাফ রিপোর্টার : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, শিশুরাই ভবিষ্যৎ পৃথিবীর নেতৃত্ব দেবে। তাই বিশ্বকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে হলে শিশুদেরও সুন্দর করে গড়ে তুলতে হবে। তাদের শারীরিক, মানসিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশে স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিক্ষা, নিরাপত্তা ও সুস্থ বিনোদনের বিকল্প নেই।

সোমবার (৩ অক্টোবর) ‘বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০২২’ উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ উদযাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ শুভক্ষণে আমি বিশ্বের সব শিশুর প্রতি জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা, স্নেহ ও ভালোবাসা।

আবদুল হামিদ বলেন, আজকের শিশুরা জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে উঠলে আগামী দিনের বিশ্বে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

‘বিশ্বের সব শিশুর অধিকার সংরক্ষণের বিষয়টি উপলব্ধি করে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ প্রণিত হয়েছে। এ সনদে সইকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ শিশুদের কল্যাণে নানাবিধ কার্যক্রম নেওয়ার পাশাপাশি বাস্তবায়ন করে আসছে।‘

তিনি বলেন, ১৯৮৯ সালে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদ তৈরির অনেক আগেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের অধিকার সুরক্ষায় ‘শিশু আইন ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন।

‘এরই ধারাবাহিকতায় সরকার শিশু অধিকার সংরক্ষণ, শিশুর প্রতিভা বিকাশে সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। পাশাপাশি শিশু নির্যাতন বন্ধে, বিশেষ করে কন্যাশিশুদের প্রতি বৈষম্য বিলোপে বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, শিশু নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে ‘জাতীয় শিশুশ্রম নিরসন নীতি- ২০১০’, ‘জাতীয় শিশু নীতি- ২০১১’, ‘শিশু আইন-২০১৩’ ও ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের এসব পদক্ষেপ শিশুর শারীরিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

‘শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশের লক্ষ্যে মৌলিক অধিকার নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের মধ্যে দেশপ্রেম ও মানবিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। আমি আশা করি, শিশু অধিকার সপ্তাহ ও বিশ্ব শিশু দিবস উদযাপনে নেওয়া কর্মসূচি শিশুদের পরিপূর্ণ বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’

আবদুল হামিদ বলেন, শিশুদের উন্নয়নে ও তাদের অধিকার নিশ্চিতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শিশু স্নেহ, মমতা ও নিরাপদে বিকশিত হোক। বিশ্ব শিশু দিবসে এটাই আমার প্রত্যাশা।

‘শিশুরা আরও ভালো থাকুক, নিরাপদ থাকুক ও এগিয়ে যাক সুবর্ণ ভবিষ্যতের দিকে। আমি বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহের সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।’

(ওএস/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০২২)