ওয়াজেদুর রহমান কনক, নীলফামারী : চটকদার বিজ্ঞাপন ও অফারে প্রলুব্ধ হয়ে ২০২১ সালের ২০ জুন আলেশা মার্ট থেকে একটি পালসার  মোটরসাইকেল কেনার জন্য ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৬৪৫ টাকা পরিশোধ করেন সাকিব। ৪৫ দিনের মধ্যে মোটর বাইকটি ডেলিভারি দেওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পরও ডেলিভারি দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে টাকা ফেরতে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের সঙ্গে দেখা করেন ভুক্তভোগী সাকিব।

এ সময় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্বাক্ষরে ১ লাখ ৬৩ হাজার টাকার চেক দেন করেন সাকিবকে। টাকা তুলতে চেকটি অগ্রণী ব্যাংক নীলফামারী শাখায় কয়েক দফায় জমা করেও ওই হিসাব নম্বরে টাকা না থাকায় সাকিব টাকা তুলতে পারেননি। একপর্যায়ে গত ২৪ জুলাই অগ্রণী ব্যাংক নীলফামারী শাখা কর্তৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার হিসেবে স্লিপ দেয় সাকিবকে।

পরবর্তীতে আলেশা মার্ট চেয়ারম্যানের কয়েকটি বাণিজ্যিক দপ্তরে উকিল নোটিশ পাঠানো হলেও একটি গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানের নাসির নামে এক ব্যক্তি। বাকিগুলো ফেরত আসে।

বাধ্য হয়ে প্রতারণার শিকার সাকিব নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্ট অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ‘আলেশা মার্ট’ এর চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারের বিরুদ্ধে নীলফামারী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। সাকিব জেলা শহরের শহীদ তিতুমীর সড়ক এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগী সাকিব উল ইসলাম বলেন, ‘এই প্রতিষ্ঠানটিতে অনেক স্বনামধন্য ব্যক্তির ছবি দেখা গিয়েছিল। গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয়েছিল। এ ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের স্পনসর হিসেবে দেখা গেছে। অথচ গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। আমিও প্রতারণার শিকার হয়েছি। আমি মোটরসাইকেল চাই না, টাকা ফেরত চাই। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আদালতে মামলা করেছি।’

মামলার আইনজীবী আসাদুজ্জামান খান রিনো জানান, মামলা হওয়ায় বিবাদীর প্রতি সমন নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে আদালত থেকে। নোটিশ গ্রহণ করলে তাঁকে আদালতে হাজির হতে হবে।

আইনজীবী রিনো বলেন, ‘এনআই অ্যাক্টে সর্বোচ্চ এক বছর সাজা এবং ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে তিনগুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রয়েছে।’

এ বিষয়ে আলেশা মার্টের হটলাইন নম্বর ১৬৭৩১ এ কয়েক দফা চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

(ওআরকে/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০২২)