এসকে সুলতান, আশুলিয়া : ম্যাগনেট পিলারের মূল্য হাজার কোটি টাকা। তবে ৩ শ কোটি টাকা দিলেই পাওয়া যাবে এই পিলার। এমন লোভনীয় প্রস্তাবে রাজি হয়ে একটি অপরাধ চক্রকে অগ্রিম ২ লাখ টাকা পরিশোধ করে ভুক্তভোগীরা। প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে পুলিশকে জানালে পুলিশ এই চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে। জব্দ করা হয় তাদের ব্যবহৃত গাড়িটিও।

রবিবার (০২ অক্টোবর) এই ম্যাগনেট পিলার সংশ্লিষ্ট অপরাধ চক্রের ৩ সদস্যকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আরেক আসামীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হল, ফরিদপুর জেলার মধুখালী থানার কানাইপুর গ্রামের মৃত করম আলীর ছেলে মাওলা মতিন (৭০), ভোলার বোরহানউদ্দিন থানার দক্ষিণ বাটামারা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো কবির (৪২), পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার আব্দুল হাকিমের ছেলে মোঃ রফিক (৩৫), বরিশালের মুলাদী থানার চরকালেখার মিন্টুর ছেলে পারভেজ (৩৬)।

ভুক্তভোগী আশুলিয়া থানার টঙ্গাবাড়ি এলাকার মান্নাফ ব্যাপারির ছেলে জমি ব্যবসায়ী মো আমান উল্লাহ (৪০) বলেন, আমি আমার চাচাত ভাইয়ের সাথে জমির ব্যবসা করি। আমাদের জমির ব্যবসায় পার্টনার হিসেবে আসামীরা যোগদান করে আমাদের বিশ্বস্ততা অর্জন করে। পরে আসামীরা আমাদের কাছে প্রায় ৫ মাস আগে কম দামে ম্যাগনেট পিলার বিক্রির প্রস্তাব দেয়। তারা জানায় এই পিলারের দাম ১ হাজার কোটি টাকা। তবে ৩০০ কোটি টাকা দিলেই আমরা এই পিলার কিনতে পারব এবং বিক্রি করে অনেক লাভ করতে পারব। আমরা সরল বিশ্বাসের তাদের কয়েকধাপে ২ লাখ টাকা অগ্রিম দেই।

সর্বশেষ শনিবার (০১ অক্টোবর) আমাদের বাড়িতে এসে দশ লাখ টাকা চায় আসামীরা। পরে আমরা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে লেনদেন করতে চাইলে তারা তালবাহানা করে। পরে আমাদের সন্দেহ হয়। তারা দৌড়ে পালাতে চাইলে ততক্ষণে উপস্থিত জনতা তাদের মারধর শুরু করে। পরে আমি পুলিশে খবর দেই।

পুলিশ জানায়, মারধরের পর এক আসামী গুরুতর আহত হলে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাকিদের রবিবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও আশুলিয়া থানার এস আই হাচিব সিকদার বলেন, ভুক্তভোগী একজন বাদী হয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে একজন আসামী ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

(এসকেএস/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০২২)