রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সনাতন হিন্দুধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপুজার মহাষ্টমী পালিত হয়েছে সাড়ম্বরে।  এ উপলক্ষ্যে সোমবার সকাল থেকে মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের সাতক্ষীরা জেলা শাখার ভারপ্রোপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষ জানান, এবার জেলায় ৫৯৯টি মণ্ডপে সার্বজনীন ও পারিবারিক দুর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে কলারোয়ার খোরদো ঘোষ বাড়িতে, শ্যামনগরের জেলেখালিতে, কালিগঞ্জের মৌতলার প্রতিমার বিশেষ বৈশিষ্ঠ্য রয়েছে। এ ছাড়া শ্যামনগরের হরিনগর ও আশাশুনির মহেশ্বরকাটিতে মণ্ডপ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। এ ছাড়া দেবহাটার গাজীরহাট, পুরাতন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়ি, কাটিয়া মায়ের বাড়ি, পলাশপোল সার্বজনীন মন্দির , পাটকেলঘাটার কুমিরায় রাস্তার ধারে ভেঙে দেওয়া মন্দিরের প্রতিমা অনেক বেশি দর্শকদের কাছে আকর্ষর্ণীয়।

তিনি আরো বলেন, মহাষ্টমী উপলক্ষে সোমবার সকাল সাড়ে ৯টায় মন্দিরে মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। বিভিন্ন জেলায় অষ্টমীতে কুমারী পুজা হলেও পুষ্পাঞ্জলী, বিহীত পুজা, সন্ধিপুজার মধ্য দিয়েই সাতক্ষীরায় মহাষ্টমী শেষ হয়েছে। সন্ধ্যায় পলাশপোল সার্বজনীন দুর্গামণ্ডপে গীতা পাঠের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জয়মহাপ্রভু সেবক সংঘের সভাপতি গোষ্ট বিহারী মণ্ডল। জেলার বিভিন্ন স্থানে সোমবার বৃষ্টি হয়েছে। রাত সাতটায় খুলনা রেঞ্জের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক ড. খঃ মহিউদ্দিন সাতক্ষীরা মায়ের বাড়িতে এসে নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। জেলা মন্দির সমিতির পক্ষ থেকে পুলিশ কর্মকর্তাকে ফলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

(আরকে/এএস/অক্টোবর ০৩, ২০২২)