এম এ হীরা, গোয়ালন্দ : মানবতা মা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেএী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ( হাসি আপা) কাজে আমাদের সম্নানী ভাতা বৃদ্ধির জন্য অকুল আবদন আমাদের দেশে বর্তমানে প্রায় প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিই ছোটবড় ব্যবসায়ী। এদের বেশীরভাগই সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে জনসেবা করতে এসেছে। জনপ্রতিনিধিদের সামাজিক নানাবিধ কাজে এখন প্রায় সারাদিন ব্যস্ত থাকতে হয়, এ কারণে ব্যবসায় প্রয়োজনীয় সময় দিতে নাপারায় সে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ফলে তাঁরা আর্থিক অসচ্ছলতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাঁর স্বাভাবিক জীবনযাপন। জন সেবা স্বেচ্ছাশ্রমের বিষয় হলেও সরকার জনপ্রতিনিধিদের মাসিক সম্মানী দিয়ে থাকেন।বর্তমানে পৌর কাউন্সিলরদের মাসিক সম্মানী ১০০০০ টাকা। একজন কাউন্সিলরের নিজের সংসার দূরে থাক, এই টাকায় তাঁর প্রতিমাসের বিয়ে-খাৎনার দাওয়াতের উপহারের ব্যয় মিটানোই মুশকিল। এছাড়া অসুখবিসুখে সাহায্য সহযোগিতাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান তো আছেই। বিশেষ করে করোনার কারণে বিগত তিন বছরে সবারই ব্যক্তিগত আয় কমেছে, কিন্তু ব্যয় বেড়েছে দিগুণেরও বেশী।যুদ্ধবিগ্রহ সহ বিভিন্ন কারণে আন্তর্জাতিকভাবে আর্থিক সংকটের শিকার আমরাও। জীবন যাপনের প্রতিটি পণ্যের দাম আআকাশছোঁয়া। এই অবস্থায় পৌর কাউন্সিলরদের সেবার সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সম্মানী বাড়ানো সময়ের দাবী।মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সকল গ্রামকে শহরে রূপান্তরিত করতে পৌর কাউন্সিলরদের সেবা প্রাদানের সক্ষমতা এবং সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আমি জোর দাবী করছি।

প্রতিটি পেশাতেই কাজের নির্দিষ্ট সময় থাকে, কিন্তু জনপ্রতিনিধিদের চব্বিশ ঘন্টাই সার্ভিস দিতে হয়। সেই তুলনায় সম্মানী একেবারেই অপ্রতুল।বিশ্বের অন্যতম মানবিক নেতা, বাংলাদেশের আপামর জনতার আশার আলো, আমাদের স্বপ্ন পূরণের বাতিঘর, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে বিনীত নিবেদন- পৌর কাউন্সিলরদের মাসিক সম্মানী ৩০০০০, হাজার টাকা করা হোক।জনপ্রতিনিধিরা আর্থিক অনটনে থাকলে তৃণমূলের মানোন্নয়ন সম্ভব নয়।

সুতরাং জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা রাখার সুযোগ সৃষ্টি করতে পৌর কাউন্সিলরদের আর্থিক সচ্ছলতা প্রদান করে চিরকৃতজ্ঞ করবেন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। নাসির উদ্দিন রনি গোয়ালন্দ পৌরসভার কাউন্সিলর ও গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগেরসাংগঠনিক সম্পাদক।

(এইচ/এসপি/অক্টোবর ০৪, ২০২২)