আশজাদ রসুল সিরাজী, গাজীপুর : মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, মিনিকেট নামে কোন চাল বিক্রি করা যাবে না,  মিলে চাল বস্তাজাত করার সময় তাতে জাতের নাম লিখে দিতে হবে। কেউ যদি এর বত্যয় করে সে ক্ষেত্রে আমরা তার বিরুদ্ধে লিগ্যাল এ্যাকশনে যাবো।

মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সকালে গাজীপুরের বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে ( ব্রি) পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মকবুল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সচিব কামরুন্নাহার, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ সাইয়েদুল ইসলাম, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান প্রমুখ।

তিনি বলেন, সম্প্রসারণ বিভাগ ১৫/২০দিন আগে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত বিভিন্ন জাত প্রুফ হওয়ার পর সার্টিফাইড হবে এবং জাতগুলো সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে তা কিভাবে ফিল্ড পর্যায়ে দ্রুত পৌঁছে দেয়া যায় তা নিয়ে বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ, লাইভস্টক, ফিসারিজসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি কো-অর্ডিনেশন ও প্রোমোশন ক্যাম্পিংয়ে যোগ দিতে তিনি ব্রিতে আসেন। তিনি বলেন, গবেষকদের উদ্ভাবিত জাতগুলো যদি বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে আরও সুন্দর ভাবে কো-অর্ডিনেশনের মাধ্যমে দ্রুত কৃষকদের পৌঁছে দিতে পারি তবে আমাদের ফলন আগামী ৫/৬ বছরের মধ্যে ডাবলের কাছাকাছি চলে যাবে।

তিনি ব্রির উদ্ভাবিত জাত এবং প্রযুক্তি বিষয়ক সকল ঘুরে দেখেন। পরে তিনি ব্রির মিলনায়তনে কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণা এবং মাঠ পর্যায়ে জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ সম্পর্কিত এক মতবিনিময় সভায় যোগ দেন । অনুষ্ঠানে ব্রী'র মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর এ সংক্রান্ত মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।


(এআরএস/এএস/অক্টোবর ০৫, ২০২২)