আবুল কাশেম রুমন, সিলেট : সিলেট জুড়ে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। বিশেষ করে ব্যাঘাত ঘটছে স্কুল, কলেজ পড়ুয়া ছাত্র ছাত্রী ও ব্যবসা বাণিজ্যের মধ্যে। সিলেটের উপজেলা গুলোতে বিদ্যুত বিভ্রাট লাগামহীন অবস্থা। দিন কিংবা রাতেই ১ ঘন্টা বিদ্যুতের আলো দেখা যায় না। বিভাগীয় শহর সিলেটে দিনরাত মিলিয়ে ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে না। এতে সাধারণ মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুর থেকে সোমবার ৩টায় সিলেট জোনের ৮টি গ্রিডে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪৮২.৬ মেগাওয়াট। তবে সরবরাহ ছিল ৩২০.৭ মেগাওয়াট। এ হিসেবে ঘাটতি ছিল ১৬৩.৯ মেগাওয়াট। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় পল্লী বিদ্যুতের সিলেট অঞ্চলে ১৮০ মেগাওয়াট চাহিদার বদলে সরবরাহ ছিল ১১৮ মেগাওয়াট। এই হিসেবে ৯০ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল। পল্লী বিদ্যুতে ঘাটতি বেশি থাকায় শহরের চাইতে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং হচ্ছে বেশি।

গত চার-পাঁচ দিন লোডশেডিংয়ের কারণে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালতে কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। গরমে মানুষের দুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে বারবার লোডশেডিংয়ে পড়ার অভিযোগ আসছে।

বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির জানান, গ্রিড লাইনে বিপর্যয়ের পর থেকে বিদ্যুতের ঘাটতি বেড়েছে। আগে যেখানে দিনে ঘাটতি ছিল ২০ শতাংশ এখন তা ৪৫ শতাংশের মতো হয়ে গেছে। ঘাটতির কারণ সম্পর্কে আমাদের জানানো হয়নি। তবে যতদূর জানতে পেরেছি, গ্রিড বিপর্যয়ে বন্ধ হওয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব গুলো এখনও চালু হতে পারেনি। সিলেটের কুমারগাওয়ের ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রও এখনও বন্ধ আছে। এছাড়া গ্যাসের চাপও অনেক কমে গেছে। এসব কারণে বিদ্যুত উৎপাদন কমে যেতে পারে।

(একেআর/এসপি/অক্টোবর ১০, ২০২২)