বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর : চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কাটগড়ে বঙ্গোপসাগরের বর্হিনোঙরে লাইটারেজ জাহাজ ‘এমভি সুলতান সানজা’ ডুবির ঘটনায় নিহত চারজনের বাড়ি মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায়। নিহতদের মরদেহ আজ শনিবার সকালের দিকে পৌঁছানোর পর এগারোটার জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়। পরে তাদের স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। লাশ দেখতে আশপাশের এলাকা থেকে কয়েক হাজার মানুষ সমাবেত হন। স্বজনদের আহাজারীতে ওই তিন গ্রামবাসীর মধ্যে চলছে শোকের মাতম। 

উদ্ধারকৃত নিহতরা হলেন, মন্ডলগাতী এলাকার খসরু বিশ্বাসের ছেলে সুরুজ বিশ্বাস (২০), একই গ্রামের নুরুল হোসেন মোল্যার ছেলে মোঃ শিমুল বিল্লাহ (৩৮), খলিশাখালী কামাল হোসেনের ছেলে মোঃ মনির মোল্যা (১৯) এবং বাবুখালী ইউনিয়নের দাতিয়াদহ গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে নাজমুল হাসান (২৭)। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছে মন্ডলগাতী গ্রামের নুরুল হকের ছেলে জাহিদ ও গোলাম রসূল মোল্যার ছেলে মোঃ হোসেন। তারা প্রত্যেকে ওই জাহাজে কর্মরত ছিলেন। তাদের মরাদেহ গত শুক্রবার ভোররাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

জানা যায়, মহম্মদপুর উপজেলার আরো দুজন রবিউল এবং রুবেল ওই জাহাজে কর্মরত ছিলেন তারা সাঁতার কেটে নদীর তীরে উঠে প্রাণে বেঁচে যায়। ঘটনার পর তারা তাদের পরিবারকে বিষয়টি নিশ্চিৎ করেন।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, ৪ জনের লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তবে বাকি নিখোঁজদের উদ্ধারের ব্যাপারে দাপ্তরিক ভাবে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, গত বুধবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে চট্রগ্রামের পতেঙ্গার কাটগড়ে কর্ণফুলি নদীর বহির্নোঙরে লাইটারেজ জাহাজ ‘এমভি সুলতান সানজা’ নামের বড় জাহাজ পাথরবোঝাই করে নয়জন নাবিক নিয়ে ফিরছিল। পথে আরেকটি লাইটার জাহাজ এমভি আকিজ লজিস্টিকস-২৩-এর সঙ্গে সংঘর্ষে এমভি সুলতান সানজানা জাহাজটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ওই জাহাজটিতে কর্মরত নয় জনের মধ্যে ৮ জনের বাড়ী মহম্মদপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে।

(বিএসআর/এসপি/অক্টোবর ১৫, ২০২২)