ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : সীমা হত্যার বিচারের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুুপুরে সদর উপজেলার মহামায়া গ্রামে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন নিহতের
পরিবার ও গ্রামবাসী।

এসময় উপস্থিত ছিলেন নিহতের পিতা সাহজুল ইসলাম,মাতা আম্মবিয়া খাতুন, দাদী সামিরোন খাতুন, বোন রিতা খাতুন, চাচী রাবিয়া খাতুন, প্রতিবেশী নেকবার হুজুর, প্রতিবেশী রোকিয়া খাতুন ও প্রতিবেশী চম্পা খাতুন প্রমুখ। ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে নিহত সীমার স্বামী ও তার পরিবার।

জানা যায়, সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের মহামায়া গ্রামের সাহাজুল ইসলামের মেয়ে সিমা খাতুনের সাথে একই জেলার কালীগঞ্জ পৌর এলাকার কাশিপুর পূর্বপাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মেহেদী হাসান সজলের বিয়ে হয়। বিয়ের ২ বছর পর এসে যায় পৌর নির্বাচন। কালীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে অংশগ্রহণ করে সজল। এরপর নির্বাচনে খরচ বাবদ স্ত্রী সীমাকে তার পিতার কাছ থেকে ৫লাখ টাকা আনতে বলে স্বামী সজল। পিতা টাকা দিতে না পারায় মেয়েকে বাবার বাড়ি রেখে দেয়। তবে নির্বাচনে জয়লাভ করে সজল। পিতা অসুস্থতার অজুহাতে মাইক্রো পাঠিয়ে স্ত্রী সীমা খাতুনকে বাড়িতে ফেরত আনে স্বামী সজল।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে স্ত্রী সীমাকে বেধড়ক মারপিট করার পর গলা টিপে হত্যা করে প্রচার করতে থাকে শাড়ি কেটে সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ গিয়েও নিহত সিমা খাতুনের মরদেহ বিছানায় শুয়ে থাকা অবস্থায় উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহীম মোল্লা জানান, প্রাথমিক ভাবে ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।

এদিকে নিহতের পিতা-মাতা ও গ্রামবাসী অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিত ভাবে সিমা খাতুনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালিয়েছে স্বামী ও তার পরিবার। ওই সময় অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ ধামকি মারে ও থানা থেকে তাড়িয়ে দেয়। নিরুপায় হয়ে আদালতের সরানপন্ন হয় এবং সজলকে ১নং আসামী করে মামলা দায়ের করেছি। এ হত্যাকান্ডের সঠিক তদন্ত করে দোষীদের ফাঁসির দাবী জানান তারা।

(একে/এসপি/অক্টোবর ১৭, ২০২২)