সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া : রুটিনের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করায় জীবন এখন আর চলেনা। খুবই অমানবিক ভাবে কষ্ট করে চলছি এখন। দিনে করতে হয় স্কুল পরিচালনার কাজ এবং রাতে করতে হয় অফিসের কাজ। এভাবেই কথাগুলো বললেন নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ কবির চৌধুরী। 

মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) তিনি বলেন আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে শতভাগ আমার কাজটি করব। এটাইতো নিয়ম। এতে সব কাজেই সুন্দর থাকে। কিন্তু প্রধান শিক্ষকের কাজের বাইরে অফিস সহকারী এবং অফিস সহায়কের কাজও যদি করতে হয় তাহলে কেমনে জীবন বাঁচে? অমানবিক ভাবে কষ্ট হলেও বাধ্য হয়েই করতে হচ্ছে অতিরিক্ত কাজ। কারণ দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়টিতে সহকারি প্রধান শিক্ষক নেই। দুই জন অফিস সহকারীর মধ্যে একজনও নেই, পাঁচ জন অফিস সহায়কের মধ্যে নেই একজনও। নৈশ্য প্রহরীর পদটি দীর্ঘদিন ধরে শূন্য পরে আছে। এইসব পদ পূরণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বার বার তথ্য পাঠিয়েও কোন কাজে আসছেনা। যে কারণে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।

তিনি বলেন, খুব দ্রুতই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নেত্রকোণা জেলা প্রশাসকের নিকট স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে বিদ্যালয়টির এসব সমস্যা সমাধানের জন্য অনুরোধ করব। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৬শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। এসব ছাত্র-ছাত্রীদের টিফিন বিতরন করা অফিস সহায়কের লোকজন না থাকায় খুবই অসুবিধা হচ্ছে।

(এসবি/এসপি/অক্টোবর ১৮, ২০২২)