লতিফ নুতন, সিলেট : সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক কলেজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন ও অশ্লালিন কথাবর্তা এবং উত্তাক্ত্য করার অভিযোগ দায়ের করেছেন আতহারিয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। এজন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক সুহেল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তাকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। এ নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ও অভিবাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। 

জানা যায়, সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জ উপজেলার আতহারিয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক (নন এমপিও ভূক্ত) সুহেল আহমদ চৌধুরী কলেজ চলাকালীন সময়ে কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে অশ্লালিন কথাবার্তা বলেন। তাঁর আচরণে ক্ষিপ্ত হন সাধারন ছাত্র-ছাত্রীরা। নিজে কখনো পীর বাবা দাবী করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। কলেজ কর্তৃপক্ষ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন। গত ২২ অগাষ্ট ২০২২ইং তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটি গত ৩রা সেপ্টেম্বর তদন্ত রির্পোট দাখিল করেন। তাকে তদন্ত রির্পোটের ভিত্তিতে কারন দর্শানো হয়। কিন্তু প্রভাষক সুহেল আহমদ চৌধুরী কোন সদোউত্তর দিতে পারেননি। পরবর্তীতে কলেজ কর্তৃপক্ষ তাকে ছুটিতে পাঠায়।

কলেজের ম্যানেজিং কমিটি’র সভাপতি, গোলপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুর শাফি চৌধুরী বিদেশে থাকায় ঘটনার দীর্ঘদিন হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পাচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।

কলেজের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের একটি মহল প্রভাষক সুহেল আহমদ চৌধুরীকে পূর্ণবহাল আর ঘঠনার ধামা দিতে চান। কিন্তুু অভিযোগবারীরা বলেন তাঁরা অভিযোক্ত সুহেল আহমদ চৌধুরীকে বহাল করা হলে তাঁরা ক্লাস বর্জন সহ নানা কর্মসূচী দিবেন।

তদন্ত কমিটি’র সদস্য এডভোকেট মুহিব উদ্দিন এ প্রতিবেদক কে বলেন তাঁরা তদন্ত কমিটি’র রির্পোট দিয়েছে। তদন্ত রির্পোটের উপর ভিত্তি করে তারা কলেজ ম্যানেজিং কমিটি অভিযুক্ত শিক্ষক সুহেল আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। কি নিবে তা বলেন তা বলেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য সদস্য বলেন অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ফলে তাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। একটি মহল তাকে পূর্ণবহাল করতে চায়।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস সহিদের যোগযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এ নিয়ে স্কুল ও কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের একমাত্র দাবী প্রভাষক সুহেল আহমদ চৌধুরীর অপসারন করা হউক। না হয় তারা ঐ শিক্ষকের ক্লাস বর্জন করবে।

(একেআর/এসপি/অক্টোবর ২০, ২০২২)