ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : হারভেস্টপ্লাস এর সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোসাইটি ডেভেলপমেন্ট কমিটি (এসডিসি) কর্তৃক আয়োজিত "ডেলিভারি অব বায়োফর্টিফাইড জিংক রাইস ইন বাংলাদেশ" প্রকল্পের আওতায় ঝিনাইদহ সদর ও কালিগঞ্জ উপজেলার ধানের বীজ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে "জিংক ধানের বীজ বাজারজাতকরণ" শীর্ষক কর্মশালা। বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই)-এর উপপরিচালকের কার্যালয়ের সভাকক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এসডিসি-র শাখা ব্যবস্থাপক স্বপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডিএই (ঝিনাইদহ)-এর উপপরিচালক জনাব কৃষিবিদ মোঃ আজগর আলী, বিশেষ অতিথি হিসাবে ছিলেন হারভেষ্টপ্লাসের বিভাগীয় সমন্বয়কারী জনাব কৃষিবিদ জাহিদ হোসাইন এবং এসডিসি-র উপ-কর্মসূচী ব্যবস্থাপক বিপ্লব মহলদার।

জিংক সমৃদ্ধ চাউলের ভাত গ্রহণ করার মাধ্যমে মানুষের শরীরের দৈনিক জিংকের চাহিদা পূরণ করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য। তাই জিংক সমৃদ্ধ ধান (ব্রি ধান ৭৪, ব্রি ধান৮৪ ও বঙ্গবন্ধু ধান১০০) এর চাষাবাদ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বীজ কম্পানীদের একান্ত সহযোগিতা প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে এই সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, জিংক চাউলের ভাত নিয়মিত গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ও মেধার বিকাশ ঘটে, ক্ষুধামন্দা দূর হয়, নারীদের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, বয়ষ্কদের কর্মক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। বিশেষভাবে বক্তারা আরও বলেন যে, দৈনন্দিন স্বাভাবিক খাবারের মাধ্যমে আমরা আমাদের দৈনিক জিংকের চাহিদার সর্বোচ্চ ৫০% পূরণ করতে পারি। তাই প্রতিদিন আমাদের শরীরে জিংকের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। যার ফলস্বরূপ আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং আমরা অতি সহজে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছি। তাই নিয়মিত জিংক সমৃদ্ধ চাউলের ভাত গ্রহণ করা অতীব জরুরী। কারণ জিংক সমৃদ্ধ চাউলের ভাত গ্রহণের মাধ্যমে দৈনিক জিংকের চাহিদার ৭০% পূরণ করা সম্ভব।

(একে/এএস/অক্টোবর ২০, ২০২২)