অরিত্র কুণ্ডু, ঝিনাইদহ : ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’র প্রভাবে ঝিনাইদহে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে। রবিবার মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। গভীর রাত কিছুটা কমলেও সকালে থেকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। এরপর শুরু হয় টানা বৃষ্টি।

সকাল থেকেই সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে করে কমেছে দিনের তাপমাত্রা। টানা বৃষ্টি হওয়ায় সড়ক, মহাসড়কে মানুষের চলাচল কমেছে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে যারা বের হচ্ছে তাদের ভোগান্তী পোহাতে হচ্ছে।

বৃষ্টি কারণে অনেককেই অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। বেশি সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষগুলোর মধ্যে। তাদের অনেককে কাজ না পেয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে।

শৈলকূপার ফুলহরি গ্রাম থেকে শহরের পায়রা চত্বরে আসা ইজিবাইক চালক মতিয়ার রহমান বলেন, সকাল থেকে এসে বসে আছি কিন্তু ভাড়া হচ্ছে না। লোকজনই নেই। ভাড়া কিভাবে হবে।

শহরের চা দোকানি নারু গোপাল ভৌমিক বলেন, বৃষ্টির কারণে বেচা-বিক্রি খুবই কম। শহরে মানুষ কম আসছে তো বিক্রি কি করে হবে।

সদর উপজেলার চাপড়ী এলাকা থেকে আসা প্রান্ত বিশ্বাস বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে বের হওয়া যাচ্ছিলো না। তবুও জরুরী কাজ থাকায় আসতে হলো। বৃষ্টিতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। টানা বৃষ্টি হচ্ছে বলে ভোগান্তিটা একটু বেশি।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম।

তিনি বলেন, আমাদের সীমান্তবর্তী উপজেলা মহেশপুর ও কোটচাঁদপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৬ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রভাব মোকাবেলায় ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের প্রত্যেক ইউএনও ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সার্বিকভাবে আমাদের সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।

(একে/এসপি/অক্টোবর ২৪, ২০২২)