রাজন্য রুহানি, জামালপুর : জামালপুরে অটোরিকশা চালক এরশাদ আলী (৩৫) হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। সেই সঙ্গে হত্যা মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়া আসামিদের অন্তর্ভুক্তিরও দাবি জানানো হয়।

নিহত এরশাদ আলী জামালপুর সদর উপজেলার রশিদপুর ইউনিয়নের পাকুল্লা দক্ষিণপাড়া এলাকার তোফাজ্জল মল্লিকের ছেলে। তাঁর ১১ বছরের এক মেয়ে ও ৫ বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জামালপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান ভুক্তভোগী পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহতের স্ত্রী মোছা. জেসমিন বেগম জানান, সতীনের সঙ্গে বাঁধা কলহ আপোষ মীমাংসার জন্য ২৮ জুন সন্ধ্যায় এরশাদকে ডেকে নিয়ে যান তাঁর উকিল মা স্বপ্না বেগম। আপোষ মীমাংসার আলোচনার সময় উপস্থিত লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে এরশাদকে মারধর করে। এ সময় এরশাদ দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধরে স্থানীয় শসাখালী খালের পানিয়ে ডুবিয়ে হত্যার পর লাশ খালের ভেতর গুম করে হত্যাকারীরা। পরদিন ওই খাল থেকে এরশাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার সঙ্গে জড়িত ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় এজাহার দেওয়া হলেও পুলিশ ৬ জনের নামে মামলা গ্রহণ করে এবং চারজনের নাম মামলার এজাহার থেকে বাদ দেওয়া হয়।

তিনি আরও জানান, এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে মোছা. স্বপ্না বেগম, স্বপ্নার স্মামী মো. বাবুল হোসেন, বাবুলের দ্বিতীয় স্ত্রী মোছা. বিউটি বেগম, ছবর ব্যাপারীর পুত্র মো. খলিল, মো. খলিলের স্ত্রী মোছা. ময়ুরী বেগম ও আব্দুল মোতালেবের পুত্র মো. সুজাত আলীকে। তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে তারা হচ্ছেন পাকুল্ল্যা দক্ষিণপাড়া গ্রামের আব্দুস ছামাদের পুত্র মিলন মল্লিক, আনোয়ার মল্লিক আনু, আব্দুস ছালাম মল্লিকের পুত্র মো. এমদাদুল মল্লিক ও হোসেন আলীর পুত্র আব্দুস ছামাদ মল্লিক।

তিনি জানান, চার আসামির নাম অন্তর্ভুক্ত না করায় বিগত ১৬ আগস্ট জামালপুর সদর আমলী আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত মামলায় বাদ দেওয়া চারজনের নাম অন্তর্ভুক্তির নির্দেশ দিলেও নারায়ণপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. মুকুল মিয়া গত ৮ অক্টোবর ২০২২ ইং তারিখে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সিআর আমলী আদালতে লিখিত ভাবে জানান, এ নিয়ে জামালপুর সদর থানায় হত্যা মামলা
তদন্তাধীন রয়েছে। ৬ জন আসামির মধ্যে চারজন গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। দু'জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আরো ৪/৫ জন জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত অব্যাহত আছে।

সংবাদ সম্মেলনে এরশাদ আলী হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে তাঁর পরিবার। সেই সঙ্গে আসামিদের প্রতিনিয়ত হুমকিতে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।

(আরআর/এএস/অক্টোবর ৩০, ২০২২)