স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ মো. আবদুল জব্বারের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের তদন্ত শেষ হয়েছে।

আবদুল জব্বারের বিরুদ্ধে শান্তি কমিটি গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন, ও তার নেতৃত্বে সশস্ত্র রাজাকার বাহিনী গঠন, মুক্তিযুদ্ধকালে দুজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা ও ৩৩ জনকে গণহত্যা, ২০০ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করা এবং অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১টায় মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থার সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়। ধানমন্ডিতে সংস্থাটির সেফ হোম কার্যালয়ে এই ব্রিফিং হয়।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক আবদুল হান্নান খান বলেন, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার আবদুল জব্বার ১৯৫৬ সালে প্রকৌশল বিদ্যায় পড়াশোনা শেষ করেন। পরে তার শ্বশুর ও তৎকালীন প্রভাবশালী মুসলিম লীগ নেতা আরশেদ আলীর প্রভাবে তিনি মুসলিম লীগের রাজনীতি শুরু করেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি পিরোজপুরে মহকুমা শান্তি কমিটি গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। পরে তার নেতৃত্বে মঠবাড়িয়ায় সশস্ত্র রাজাকার বাহিনী গঠন করা হয়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধকালে ফুলঝুরিতে দুজন মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা, নলীতে ১১ জনকে গণহত্যা, ফুলঝুরিতে প্রায় ২০০ হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করা এবং আঙুলকাটা ও মঠবাড়িয়ায় ২২ জনকে গণহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া তদন্তে তার বিরুদ্ধে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের প্রমাণ মিলেছে। ওই প্রমাণ অনুযায়ী তিনি ও তার নেতৃত্বের রাজাকার বাহিনী ৫৫৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছেন।

তদন্ত সংস্থা জানায়, মামলায় মোট সাক্ষী ৪৬ জন। গত বছরের ১৯ মে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। সোমবার ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

(ওএস/এটি/এপ্রিল ২৮, ২০১৪)