বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, রামদেবগাতী থেকে ফিরে : মাগুরার সদর উপজেলার বেরুইল-পলিতা ইউনিয়নের রামদেবগাতী গ্রামে নবগঙ্গা নদীর তীরে পাখি ডাকা ছায়া ঘেরা পরিবেশে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দিত রাধামোহন- সেবাশ্রম। আজও কালের কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

স্থানীয় সুকুমার মন্ডল জানান, মাগুরা শহর থেকে প্রায় ১৯ কিলোমিটার অতিক্রম করার রাজাপুর ব্রীজের পাশে পুঠিয়া বাজার সংলগ্ন রাধামোহন সেবাশ্রম। রাজতন্ত্রের আমলে এক রাজা রাধামোহন সেবাশ্রম (বিগৃহের) নামে অধিক জমি দান করেন। এবং তারপর থেকেই সেবাশ্রম টি হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন উৎসব পালন করে আসছে। তিন দিনব্যাপী শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী, চৈত্র মাসে দু'দিনব্যাপী দশম দোল উৎসব পালন করা হয় ও চৈত্র মাসে নাম কীর্তন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া শ্রীকৃষ্ণের নিত্য সেবা দিতে সেবাইত দুধৃষ্টি সিঙ্গি ও রুপা বৈরাগী দম্পতি নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন বলে তারা জানান।

সেবাশ্রম টির সামনে রয়েছে তুলসী কানন, পাশে বিশাল একটি অশোক বৃক্ষ ফাগুন চৈত্র মাসে শোভাময় ফুলে ফুলে ভরে ওঠে গাছটি। সেবা শ্রমের প্রবেশ পথে রয়েছে দেল মন্দির। প্রতিটি উৎসবে অসংখ্য ভক্তদের আগমন ঘটে। সেবা শ্রমের মধ্যে রয়েছে উন্নত মানের ফলদ ও বৃক্ষ গাছ। প্রায় শত বছর পূর্বে সেবাইত রঘুনন্দন গোস্বামী দেহ ত্যাগ করার পর রাধামোহন সেবাশ্রমের সামনে তাকে সমাধি দেওয়া হয়। সেবাশ্রম টি মন চাইলে যে কেউ দর্শন করে আসতে পারেন। মনের আশা পূর্ণ হলে অনেক ভক্ত এখানে পূজা ও মানষা দিতে আসেন।

রাধামোহন সেবাশ্রমের সাধারণ সম্পাদক বিকাশ মণ্ডল জানান, প্রতিবছরই কয়েকটি উৎসব আমরা গ্রামবাসীর সহযোগিতা নিয়ে পালন করি থাকি। বেরুইল-পলিতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূর আলম জানান শুনেছি তৎকালীন রাজা প্রমথ ভূষণ দেব রায় রাধামোহন সেবাশ্রমের নামে জমি দান করেন। এই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানটি প্রাচীন আমলের। প্রতিবছরই হিন্দু সম্প্রদায় বিভিন্ন উৎসব পালন করে থাকে।

(বিএসআর/এসপি/নভেম্বর ০৭, ২০২২)