রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যা যা করণীয় দরকার তাই করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও রংপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন।

তিনি বলেছেন, প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা এবং যাদের কারণে ভোটকেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আবদুল বাতেন বলেন, গাইবান্ধার ভোটের পর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করেছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে প্রস্তুত কমিশন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, সম্ভাব্য প্রার্থীরা যারা পোস্টার, ফেস্টুন বিলবোর্ড সাঁটিয়েছেন তারা আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে তা সরিয়ে ফেলবেন। এজন্য মাইকিং করা হবে। কোনো প্রার্থী কমিশনের সিদ্ধান্ত মানছেন কী না, আচরণ বিধি মানছেন কী না সেটা গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। কেউ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে যাচাই-বাছাইয়ের পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে কমিশন।

তিনি বলেন, এখন থেকে প্রার্থীরা কোনো সভা-সমাবেশ, মিছিল মিটিং ও শোডাউন করতে পারবেন না। তবে, ঘরোয়াভাবে বৈঠক ও গণসংযোগ চালাতে পারবেন।

আবদুল বাতেন বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনে প্রায় ২০০টি কেন্দ্রে ইভিএমে সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। পরে গত সোমবার (৭ নভেম্বর) পূর্ণাঙ্গ তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৭ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে রংপুর সিটি নির্বাচন।

২০১২ সালের ২৮ জুন পৌরসভা থেকে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন হয়। এরপর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এবার ভোটার সংখ্যা চার লাখের বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ১০, ২০২২)