শিমুল সাহা, লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক মাদরাসাছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে বুধবার (১৬ নভেম্বর) রায়পুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন, রায়পুর পৌর শহরের লেংড়া বাজার এলাকার মাদরাসা-ই তাহফিজুল কুরআন নামের ওই প্রতিষ্ঠানের সুপার আবদুল ওয়াজের ও শিক্ষক আবদুর রশিদ। বুধবার রাতে তাদের আটক করেছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষক আবদুর রশিদ গত আড়াই বছর ধরে ওই মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। গত ১২ সেপ্টেম্বর রাতে মাদরাসার কক্ষেই তিনি ভুক্তভোগী ওই ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করেন।

এ ঘটনায় মাদরাসা কমিটির লোকজন গোপনে ছাত্রের অভিভাবকের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ওই শিক্ষককে সতর্ক করা হয়। কিন্তু গত ৯ নভেম্বর রাতে পুনরায় ওই ছাত্রকে যৌন নিপীড়ন করা হয়েছে।

বিষয়টি ওই ভুক্তভোগী মাদরাসা সুপারকে জানায়। কিন্তু মাদরাসা সুপার ছাত্রের অভিভাবককে কিছুই জানাননি। তিনি ছাত্রকে চিকিৎসকের কাছে পাঠিয়ে ওষুধ কিনে দেন।

এ বিষয়ে মাদরাসা সুপার আবদুল ওয়াজের জানিয়েছেন, ঘটনাটি জানার পর শিক্ষক আবদুর রশিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অপরাধ স্বীকার করেন। তাকে মাদরাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই ছাত্রকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে বিষয়টি মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও ছাত্রের পরিবারকে জানানো হয়নি।

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া জানান, মাদরাসা ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

(এস/এসপি/নভেম্বর ১৭, ২০২২)