সিংড়ায় যুবদল কর্মী হত্যার ঘটনায় ১৩ জনকে আসামী করে মামলা
নাটোর প্রতিনিধি : নাটোরের সিংড়ায় যুবদল কর্মী কামাল হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ১৩ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার নিহত কামালের ছোট ভাই বাদল বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় আরো ৭/৮ জন অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে আসামী করা হয়েছে। অপরদিকে নিহত কামালের মরদেহ ময়না তদন্ত শেষে বুধবার বাদ জোহর কালিনগর গোরস্থান মাঠে মস্তকবিহীন লাশের জানাজা শেষে একই গোরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। যুবদলকর্মী কামালের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
মস্তকবিহীন লাশ দেখে অনেকে আতঙ্কিত ও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের ঘটনার পর থেকে এলাকায় ভূতুরে পরিবেশ বিরাজ করছে। এদিকে হত্যার ৪৮ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও নিহত কামালের মস্তক উদ্ধারসহ হত্যার সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। তবে পুলিশ বলছে,খন্ডিত মস্তক উদ্ধারসহ অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মামলার বাদী নিহতের ছোট ভাই বাদল জানান, মামলার আসামীরা সকলেই ক্ষমতাসীন দলের সক্রিয় সদস্য হওয়ায় তাদের গ্রেফতারে পুলিশ দায়সারা অভিযান চালাচ্ছে। তিনি তার ভাইয়ের হত্যার বিচার দাবি করেন।
সিংড়া থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত কামালের ছোট ভাই বাদল বাদি হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭/৮ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামীদের ধরতে অভিযান চলছে। তবে এখনও নিহত কামালের মস্তক পাওয়া যায়নি। মস্তক উদ্ধার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে কলম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা ফজলার রহমান ফুনু হত্যার আসামী যুবদল কর্মী কামাল হোসেনকে কালিনগর গ্রামে প্রকাশ্যে গুলি ও গলা কেটে হত্যা করা হয়। পরে তার খন্ডিত লাশ আত্রাই নদীতে ফেলে দেওয়া হয় । পরে পুলিশের ডুবুরী দল ঘটনার ৯ ঘন্টা পর মস্তক বিহীন লাশ উদ্ধার করে।
(এমআর/এএস/অক্টোবর ১৫, ২০১৪)