স্টাফ রিপোর্টার : ষষ্ঠ থেকে নবম-দশম ও একাদশ শ্রেণির বইয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়ে ভুল তথ্য থাকার পর তা সংশোধন সঠিক না হওয়াই জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)-এর চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।

আগামী মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আদালতে তাদের স্বশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য বলেছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রিটকারীদের আইনজীবী।

এর আগে ২০২১ সালে ভুলের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যবইতে থাকা ভুল সংশোধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সটবুক বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্য (কারিকুলাম) ও সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানি হয় এবং তাদের দুজনকে তলব করে আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নবম-দশম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বইয়ের ১৭৪ পৃষ্ঠায় ৯ নম্বর লাইনে আছে, দলীয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু হবে আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৮৭ পৃষ্ঠায় শেখ মুজিবুর রহমানকে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি বলা হয়েছে। অথচ স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি বলা হয়েছে। একই বইয়ের সংবিধানের ১১ অনুচ্ছেদের লাইনটিও ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

নবম ও দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের ২৯ পৃষ্ঠায় বঙ্গভবনকে লেখা হয়েছে প্রেসিডেন্ট ভবন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল পাঁচ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ সংবিধানের কোথাও আলাদাভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যকালের কথা উল্লেখ নেই।

এমন অসংখ্য ভুল সংশোধন করতে অনেক অভিভাবক এনসিটিবিকে চিঠি দিলেও কর্ণপাত করেনি তারা। শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এক অভিভাবক।

(ওএস/এসপি/নভেম্বর ২৩, ২০২২)