বিশ্বজিৎ সিংহ রায়, মহম্মদপুর : মাগুরা মহম্মদপুরে শীতে খেজুরের রসের চাহিদা থাকায় ১৫ কার্তিক থেকে খেজুরের গাছ কাটা শুরু করেছেন গাছিরা। সকালে শীত কুয়াশা অতিক্রম করে গাছিরা ঘাড়ে রসের বাগসহ ঝুলন্ত রসের হাড়ি।এবং গাছে গাছে রসের হাড়ি নামাতে  দেখা যায়। দিনের আলোয় প্রচন্ড কষ্ট করে ঘাম ঝরিয়ে খেজুর গাছে উঠে রস সংগ্রহ কাজে নিয়োজিত রয়েছেন গাছিরা। প্রকৃতির সৌন্দর্য খেজুরের গাছ ফাঁকা মাঠে বা ফসলের ক্ষেতের পাশে দেখতে অনেকটাই দৃষ্টিনন্দিত লাগে। এ বছর ব্যতিক্রমী এক গাছিরা এসেছেন রাজশাহী থেকে মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলার পলাশবাড়ীয়া গ্রামে। ঘরে ঘরে এখন নতুন ধান উঠেছে শীতের পিঠাপায়েস তৈরি করতে খেজুরের রস, গুড়, পাটালির প্রচুর চাহিদা থাকায় অনেকটাই ব্যস্ত সময় পার করছেন গাছিরা।

রাজশাহী জেলার বাঘা থানার মোঃ হাফিজুর রহমান (৪৫) নামের একজন গাছি জানান, খেজুরের রস, পাটালি, গুড়ের চাহিদা থাকায় একই এলাকার বিপ্লব আলী ও সিরাজ আলী নামের আরও দুই সহযোগীকে নিয়ে তিনি রাজশাহী থেকে এসেছেন উপজেলার পলাশবাড়ী এলাকায় গাছি হিসাবে খেজুরের গাছ কাটতে।

সরেজমিন গিয়ে খেজুর গাছ কাটার চিত্র চোখে পড়ে। গাছি দের পিছনে ধারালো বাটালের ব্যাগ বেঁধে নিয়ে গাছে উঠতে। অন্যরকম গাছ কাটতে দেখা যায় ধারালো বাটাল দিয়ে গাছ চেছে রস বের করতে। সপ্তাহে তিন দিন গাছ কাটেন এসব গাছিরা। মহম্মদপুরের পলাশবাড়ীয়া গ্রামের খেজুর গাছের মালিকরা তেমন একটা গাছি না পাওয়ায়। তাঁরা বড় খেজুরের গাছ প্রতি তিন কেজি এবং ছোট গাছ প্রতি আড়াই কেজি পাটালি অথবা গুড় এক সিজিন চুক্তিতে গাছ কাটাচ্ছেন এসব গাছিদের দিয়ে।

এ বিষয়ে কয়েকজন গাছি জানান, প্রতিহাড়ি খেজুরের রস দুইশত পঞ্চাশ টাকা দামে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করছেন। গুড় ও পাটালি বিক্রয় হচ্ছে গুড়ের ভাটি থেকে প্রতি কেজি ৩২০/- টাকা দামে। ফাল্গুন মাসের প্রথম সপ্তাহে গাছিরা গাছ কাটা বন্ধ করবেন বলে জানান তারা।

(বিএস/এসপি/নভেম্বর ২৬, ২০২২)