চপল রায়, ভোলা : ভোলার তজুমদ্দিনের চর জহিরউদ্দিনে দিনমজুরের স্ত্রী মরিয়ম কে ঘরে একা পেয়ে একাধিকবার ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে নির্মম নির্যাতন করে স্থানীয় বখাটে হাফেজ ও তার সঙ্গীরা। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতবছর গৃহবধূর স্বামী মাহে আলম জীবীকার তাগিদে ঢাকা অবস্থান করার সুযোগে জমি চাষের অজুহাতে একাধিকবার ঘরে ঢুকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় চার নং ওয়ার্ডের হাফেজ। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে হাফেজ এর স্ত্রীকে জানালে ওই গৃহবধূর বাড়িতে এসে অকথ্য গালিগালাজ করে হাফেজ। এর প্রতিবাদ করায় ওই গৃহবধূর ছেলেকে গোপনাঙ্গে আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তার মা মরিয়ম কে চুল ধরে মাটিতে ফেলে তার বুকের উপর পা দিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে হাফেজ, রাজীব, মোক্তার, সবুজ ও রত্তন।

গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা তাদের তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। চিকিৎসার খরচ যোগাতে ধার দেনা করে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে সর্বস্ব হারিয়ে জানতে পারেন তাদেরকে নির্যাতন করে আবার তাদেরই বিরুদ্ধে জিডি করেছে হাফেজ ও তার দলবল। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের জানালে তারা হাফেজ এর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে একের পর এক শুধু তারিখ ধার্য্য করেই ধামাচাপা দেয়।

ফলশ্রুতিতে হাফেজ আরও অনেকবার ওই গৃহবধূর শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় ও তাদের কাছ থেকে ধান বাবদ নেয়া প্রতিশ্রুত চল্লিশ হাজার টাকা আত্নসাৎ করে।

এর ধারাবাহিকতায় রোববার রাত বারোটার দিকে আবারও সেই গৃহবধূর ঘরের পাশে গিয়ে তাদের গরুর রশি দা দিয়ে কেটে গরুগুলোকে ধাওয়া করে তাড়িয়ে দিয়ে গরু ছেড়ে দেয়ার কথা বলে ওই গৃহবধূকে ঘরের বাইরে আসতে বাধ্য করে। গরুগুলো রক্ষায় বাইরে এলে তাকে জোরপূর্বক শ্লীলতাহানি করে হাফেজ। ওই গৃহবধূর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় হাফেজ।

চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগী পরিবারটি ভোলা জেলার পুলিশ সুপার এর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ও ন্যায়বিচারের দাবি জানান।

(সিআর/এসপি/নভেম্বর ২৭, ২০২২)