বাগেরহাট প্রতিনিধি : নৌযান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে সারা দেশে শুরু হয়েছে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি। কর্মবিরতিতে সমর্থন দিয়ে রবিবার মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের বিভিন্ন এলাকায় কয়েকশ’ লাইটার জাহাজ নোঙর করে রেখেছেন নৌযান শ্রমিকরা। এর ফলে লাইটার সংকটে যেকোনও মুহূর্তে মোংলা বন্দরে অবস্থারত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য  খালাস বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির প্রথম দিনে রবিবার মোংলা বন্দরে খালাসকৃত কোন পন্য নৌপথে পরিবহন হয়নি। এদিকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির প্রথম দিনে মোংলায় দাবী আদায়ে নৌযান শ্রমিকরা মিছিল সমাবেশ করেছে। 

মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলাল জানান, লাইটার সংকটের কারণে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস না করতে পারলে তাদের অনেক টাকার আর্থিক ক্ষতি হবে। দেশে খাদ্যপণ্যের মূল্য আরো বেড়ে যাবে। শিপিং এজেন্টদেরও জাহাজ ভাড়া বাড়বে। এই অবস্থায় দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে সরকারের কাছে দাবী জানান এই বন্দর ব্যবহারকারী।

বাংলাদেশ লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের মোংলা শাখার সহ-সভাপতি মাইনুল হোসেন মিন্টু জানান, নৌযান শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে আদায়ের লক্ষ্যে গত ১৯ নভেম্বর সারা দেশের নৌবন্দরগুলোতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে সরকার এবং মালিকপক্ষকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছিল। সরকার ও মালিকপক্ষ আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করায় আমরা বাধ্য হয়ে সারা দেশে একযোগে শনিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি দিয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলবে। কর্মবিরতির প্রথম দিনে রবিবার সকালে মোংলায় মজুরি বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে নৌযান শ্রমিকদের পক্ষ থেকে মিছিল সমাবেশ করা করেছে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন শাহীন মজিদ জানান, বর্তমানে বন্দরের জেটি ও বহি:নোঙ্গরে ১১টি বানিজ্যিক জাহাজ রয়েছে। নৌযান শ্রমিক অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে প্রথম দিনে মোংলা বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে এখনও কোনও প্রভাব পড়েনি। বন্দরে খালাসকৃত কোন পন্য নৌপথে পরিবহন হয়নি। তবে, বন্দরের স্বার্থে দ্রুত নৌযান ধর্মঘট প্রত্যাহার চান এই বন্দর কর্মকর্তা।

(এসএকে/এসপি/নভেম্বর ২৭, ২০২২)