শেখ ইমন, শৈলকুপা : সাব রেজিষ্ট্রারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ঝিনাইদহে শৈলকুপায় দলিল লেখকদের কর্ম বিরতি চলছে। উপজেলার মধ্যে দলিল কমিশনে অতিরিক্ত ফি দাবি, দলিল রেজিষ্ট্রির সময় নানান অজুহাতে দলিল প্রতি অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও বিলম্বে অফিসে আশা সহ বিভিন্ন অভিযোগে রবিবার থেকে সাব রেজিষ্ট্রার ইয়াসমিন শিকদারের বিরদ্ধে এ কর্ম বিরতি বলে জানান দলিল লেখকরা। দলিল রেজিষ্ট্রি না হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন মানুষ। তবে সাব রেজিষ্ট্রার তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

শৈলকুপা সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের দলিল লেখক আক্তারুজ্জামান বলেন, সাব রেজিষ্টার ইয়াসমিন শিকদার শৈলকুপায় যোগদানের পর থেকে তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন। উপজেলার মধ্যে কোন অসুস্থ ব্যক্তির দলিল রেজিষ্টি করতে গেলে দলিল কমিশন হিসাবে সরকারী ভাবে সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা নেওয়ার বিধান রয়েছে। কিন্ত সে প্রতিটা দলিলে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে থাকেন। প্রতিদিন অফিসে যে দলিল রেজিষ্ট্রি হয়ে থাকে তাতে বিভিন্ন অজুহাত ধরে সেখানে প্রতি দলিলে তিনি ৫শত’ থেকে ৫ হাজার টাকা দাবি করেন। এছাড়া প্রতিদিন তিনি বেলা ১২টার আগে অফিসে আসেন না বলে জানান। দলিল লেখক রবিউল ইসলাম সাবু জানান. তার লিখিত দলিলে ঢাকায় কমিশন করে রেজিষ্ট্রার করতে তার নিকট থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ সরকারী কমিশন ফি ৯হাজার টাকা বলে জানান। এছাড়াও নাবালক সন্তানের সমপ্তি কোটের অনুমতি নিয়ে সন্তানের অভিভাবকরা জমি বিক্রি করতে গেলে সেখান থেকেও অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন।

আজ সোমবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসা জনসাধারণ অফিসে এসে দেখেন দলিল লেখকদের কর্ম বিরতি চলছে। জমি রেজিষ্ট্রি করতে না পারায় তারা দূর্ভোগে পড়েছেন বলে জানান।

অভিযোগ নিয়ে সাব-রেজিষ্ট্রার বলেন, দলিল লেখকরা তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করছেন এটা তাদের মনগড়া অভিযোগ। তিনি সরকারী নিয়মের বাইরে কোন দলিল রেজিষ্ট্রি করেন না। অফিসে বিলম্বে আসা তা উর্ধ্বোতন কর্তৃপক্ষ জানেন বলে জানান।

দলিল লেখকদের কর্ম বিরতি নিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসিল্যান্ড বনি আমিন জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন। তবে কেউ তাকে লিখিত ভাবে বিষয়টি অবগত করেননি বলে জানান।

(এসআই/এসপি/নভেম্বর ২৮, ২০২২)