শাহ্ আলম শাহী, দিনাজপুর : দিনাজপুরের বিরামপুর সার্কেল অফিসের ইন্সপেক্টর শাকিলা পারভীনের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার করে ক্ষমতার অপব্যবহার, আর্থিক ক্ষতি সহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলন করেছে,তারই দেবর আল আমিন সরকার। ঘোড়াঘাটের ব্যবসায়ী আল আমিন সরকার তার ভাবি ইন্সপেক্টর শাকিলা পারভীনের বিরুদ্ধে আজ রবিবার দুপুর একটায় হাকিমপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেললে লিখিত বক্তব্যে আল আমিন সরকার জানান, বিরামপুর সার্কেল অফিসের পুলিশ ইন্সপেক্টর শাকিলা পারভীন আমার মৃত ভাইয়ের স্ত্রী। সম্পর্কে আমার ভাবী। তিনি দিনাজপুর জেলায় গত ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে চাকরি করছেন। আমি চলতি বছরের গত ৯ থেকে১৫ অক্টোবর ভারতে চিকিৎসাধীন থাকায় তিনি কৌশলে আমার ১৫ শতাংশ জমি অবৈধভাবে জবর-দখলে নিয়ে আমের বাগান করেছেন। আমাদের যৌথ ইটভাটা বন্ধ করে অন্যকে ভাড়া দিয়েছেন এবং আমার বৃদ্ধা মা আনোয়ারা বেগম ইটভাটার অংশীদার। তা সত্বেও ইটভাটা লিখে দেওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করছেন। ফলে আমরা ইটভাটার ভাড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। আমার ব্যবহৃত মটরসাইকেল সুকৌশলে নিয়ে গিয়ে আটকিয়ে রেখেছেন। আমার জেনারেটর মেশিনটি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হন। গত ৩০ নভেম্বর আমি অন্যের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে দলিল রেজিষ্ট্রি করতে গেলে শাকিলার ছেলে জুবায়ের, ম্যানেজার নজরুল সহ কিছু মাস্তান বাহিনী বাঁধা দেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দলিল করি।

তিনি লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, আমি আশংকা প্রকাশ করছি যে ঢাকায় কেনা আমাদের যৌথ নামে ফ্ল্যাটটি এবং আমার নিজের নামে থাকা জমি শাকিলা ও তার ছেলে যেকোন সময় আমাকে অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে বা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে দলিলে স্বাক্ষর করে নিতে পারেন। গত কয়েকদিন পূর্বে রাতে শাকিলার ছেলে ও তার ভাটাটে মাস্তান আমার বাড়ীর দরজার সামনে এসে অবস্থান করে এই হুমকি দিলে আমি ঘোড়াঘাট থানায় ফোন দিলে পুলিশ এসে আমাকে রক্ষা করেন।

তিনি আরও বলেন, শাকিলা পারভীন ও তার ছেলের এসব অবৈধ, বেআইনী হস্তক্ষেপ ও কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে দিনাজপুর পুলিশ সুপার এবং রংপুর রেঞ্জের ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ করি। এরই প্রেক্ষিতে বিরামপুর সার্কেল অফিসার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারকে তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার তার অফিসে কর্মরত ইন্সপেক্টর শাকিলার পক্ষ নিয়ে আমাদের হয়রানী করছেন। একারণে আমি সংবাদ সম্মেলণের মাধ্যমে বিরামপুর সার্কেলকে দেওয়া তদন্তভার অন্য জেলার কোন পুলিশ কর্মকর্তাকে দেওয়া সহ এই জেলা থেকে শাকিলা পারভীনকে প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। শাকিলা এই জেলায় দীর্ঘদিন ধরে চাকরী করার কারণে এলাকায় যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছেন। একারণে তিনি আমাকে এবং আমার পরিবারের নামে মিথ্যা মামলা, প্রাণনাশের হুমকি সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দিয়ে যাচ্ছেন।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ০৪, ২০২২)