রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : জমি নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মুণ্ডা সম্প্রদায়ের এক প্রতিবন্ধী নারীসহ তিনজনকে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কদমতলী গ্রামে শনিবার সকাল থেকে  রাত ৮টা পর্যন্ত তিন দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতদের তিনজনকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতরা হলেন, শ্যামনগরের কদমতলী গ্রামের শিবপদ মুন্ডার ছেলে অসিত কুমার মুন্ডা (৪০), তার মা আনারমনি মুণ্ডা (৭০), স্ত্রী শারিরীক প্রতিবন্ধী আরতী রানী মুন্ডা (২৫)।

কদমতলী গ্রামের কাঞ্চন মুন্ডা জানান, কদমতলী গ্রামে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে তারা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছেন। সম্প্রতি একই এলাকার মৃত সুলতান গাজীর ছেলে আব্দুর রশিদ গাজী ওই জমি তাদের দাবি করে জবরদখলের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে গতকাল শনিবার সকালে দাদা অসিত মুন্ডা ওই জমিতে কাজ করার সময় রশিদ গাজী অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করতে থাকে। প্রতিবাদ করায় রশিদ গাজী লাঠি দিয়ে দাদাকে পিটিয়ে করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রশিদ গাজীর নেতৃত্বে আবারো তার ছোট ছেলে আল হোসাইন খলিফা, স্ত্রী বেবী পারভীন তাদের বাড়িতে ঢুকে তার বৃদ্ধা মা ও বউদি শারীরিক প্রতিবন্ধি আরতী মুন্ডাকে এলোপাতাািড় পিটিয়ে জখম করে। রাত ৮টার দিকে রশিদের ছেলে রাজা হোসাইনের নেতৃত্বে রশিদ গাজী, ছোট ছেলে আল হোসাইন, রাজা হোসাইনের স্ত্রী শারমিন সুলতানা হাতে দা, লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাদের বাড়িতে ঢুকে বৃদ্ধা মা আনারমনি ও বউদি আরতিকে তৃতীয় দফায় মারপিট করে। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে রশিদ গাজী মুন্ডাদের মারপিটের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অসিত মুণ্ডা তাদের বিভিন্ন ভাবে গালিগালাজ করে। এ নিয়ে অসিতের সাথে বড় ছেলে রাজা হোসাইনের কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়েছে। আনারমনি ও আরতি কিভাবে আহত হলেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, তার স্ত্রীও আহত হয়েছে।

এ ব্যাপারে শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম বাদল বলেন, এ ঘটনায় অসিত মুণ্ডা বাদি হয়ে রবিবার সকালে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ০৪, ২০২২)